shadheenbangla

ভার্চুয়াল মেমোরি (Virtual Memory) কি?

আজকে ভার্চুয়াল মেমোরি  নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। অপারেটিং সিস্টেমে একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মেমোরি ম্যানেজমেন্ট।

আমরা হয়তো কমবেশি সবাই জানি একটা প্রোগ্রাম যখন আমরা ডবল ক্লিক করি উইন্ডোজে তখন সেই প্রোগ্রামটা র‍্যামে (যাকে মেইন মেমোরি বা প্রাইমারি মেমোরিও বলে) লোড হয়।

এমনকি আপনি কম্পিউটার স্টার্ট দেয়ার পর উইন্ডোজ যে আস্তে আস্তে চালু হয় সেটাও কিন্তু আপনার র‍্যামেই লোড হতে হয়।

কারণ আসলে কম্পিউটারের যে সিপিউ সেটা যাই এক্সিকিউট করুক না কেন সেটা সে র‍্যাম থেকেই করে। আপনার ১ টেরাবাইট, ২ টেরাবাইট হার্ডডিস্ক নিয়ে তার বিন্দুমাত্রও কোনো মাথাব্যথা বা ইন্টারেস্ট নাই।

তার সংসার শুধু আপনার ঐ ৪ জিবি, ৮ জিবি কিংবা ১২ জিবি সাইজের (আপনার বা আপনার বাবার পকেটের উপর ডিপেন্ড করে) ছোট্ট ঐ র‍্যামটাকে নিয়েই।

এখন যেটা বলছিলাম যে এই যে আপনি ধরেন বেশ বড় বড় সাইজের সফটওয়্যার চালান আপনার পিসিতে (হাই গ্রাফিক্সের গেমস, গুগল ক্রোম, অটোক্যাড, মুভি ইত্যাদি ইত্যাদি) একসাথে, আপনার ছোট্ট র‍্যামটাতে এগুলো আঁটে কিভাবে?

আঁটার তো কথা না। কিন্তু এদিকে আপনার প্রোগ্রামগুলো চালাতেও কিন্তু সিপিউর কোনো সমস্যা হয় না। এটা আসলে সম্ভব হয় ভার্চুয়াল মেমোরি -র কারণে।

ভার্চুয়াল মেমোরি (Virtual Memory) – বেসিক আইডিয়া হলো প্রত্যেকটা সফটওয়্যারের (Running) র‍্যামে সম্পূর্ণ নিজস্ব একটা এরিয়া (যাকে Address space বলে) থাকবে; যেগুলোকে আবার ছোট ছোট চাঙকে (Chunk) ভাগ করা হবে।

এই ছোট ছোট ভাগগুলোকে অপারেটিং সিস্টেমের পরিভাষায় এক একটা Page বলা হয়। আপনার যে র‍্যাম আছে, সেই র‍্যাম এর ক্ষুদ্রতম ইউনিট হলো বাইট (Byte)। ১০২৪ বাইটে হয় ১ কিলোবাইট, ১০২৪ কিলোবাইটে হয় ১ মেগাবাইট এরকম।

এগুলো আমরা মোটামুটি সবাই জানি। তো এই যে বাইটগুলা হয় এগুলি নাম্বারিং করা হয়; যাকে অ্যাড্রেস বলা হয়। এখন এই পেইজগুলা র‍্যামে ম্যাপ করা হয়; কিন্তু একটা প্রোগ্রামের সবগুলা পেইজ আপনার একসাথে র‍্যামে থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই।

কারণ তাহলে যেটা বললাম আপনি একসাথে কয়েকটা প্রোগ্রাম আপনার পিসিতে চালালে আপনার র‍্যাম ওভারলোডেড হয়ে যাবে, আর এটার প্রয়োজনও নেই। তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়ালো?

ধরেন আপনি Microsoft Office PowerPoint চালাইলেন। এখন এই প্রোগ্রামটা তো র‍্যামে লোড হবে। এখন এই প্রোগ্রামটার Address space কতগুলা page এ ভাগ করা হবে।

অর্থাৎ কতগুলা page নিয়ে PowerPoint র‍্যামে থাকবে। কিন্তু এখানে PowerPoint এর মূল প্রোগ্রামের সবগুলো পেইজ থাকবে না।

আপনার সিপিউ যখন PowerPoint এর নির্দিষ্ট একটা ফাংশন নিয়ে কাজ করবে তখন যদি তা র‍্যামে থাকে তাহলে তো হলোই; না হলে আপনার Windows কে Alert করা হবে যেন সে কাঙ্ক্ষিত page টা আপনার হার্ডডিস্ক থেকে নিয়ে আসে আর তারপর আবার ঐ ফাংশনটা নিয়ে কাজ শুরু করে।

ভার্চুয়াল মেমোরি (Virtual Memory) কিভাবে কাজ করে?

আচ্ছা প্রোগ্রাম লিখে কিভাবে? কোডিং করে, তাই তো? তার মানে আপনি যখন PowerPoint চালাচ্ছেন, এই PowerPoint ও তো আসলে লাইন বাই লাইন কতগুলো দুর্বোধ্য কোড লিখে যে আউটপুট হয় তার ফসল।

এখন এই যে প্রোগ্রামিং সেটার জন্য বেশ কিছু ল্যাংগুয়েজ আছে। অ্যাসেম্বলি হচ্ছে তার মধ্যে একটি। ধরুন PowerPoint এর একটা লাইন হচ্ছে এরকম (PowerPoint যদিও অ্যাসেম্বলিতে লিখা না, তারপরও ধরে নেন):

MOV REG, 1000

এই লাইনটার মানে হচ্ছে র‍্যামের ১০০০ নাম্বার লোকেশনে যা আছে সেটা একটা Register এ রাখো। Register হলো এক ধরনের মেমোরি, যেটা র‍্যামের চাইতেও অনেকগুনে ছোট, কিন্তু খুবই ফাস্ট।

এখন কোডে ১০০০ নাম্বার অ্যাড্রেসটা যে লেখা হইলো সেটাকে বলে Virtual Address আর এরকম অনেকগুলো Virtual Address মিলে তৈরি করে Virtual Address space.

Memory Management Unit

উপরের ছবিতে CPU এর নিচে দেখতে পাচ্ছেন Memory Management Unit (MMU) বলে একটা জিনিস আছে যেটা ভার্চুয়াল মেমোরি (Virtual Memory) আবিষ্কারের আগে CPU package এ থাকতো না।

নিচে যে Bus দেখতে পাচ্ছেন সেটাকে একটা সিম্পল তারের মতো চিন্তা করতে পারেন যার মধ্যে দিয়ে ডাটা যাওয়া-আসা করে। নেটওয়ার্কিং এ যে বাস টপোলজি শিখিয়েছিলাম সেটার বাসের মতোই।

যাই হোক, আগেকার সময়ে CPU সরাসরি Virtual Address কেই বাসের মধ্যে দিয়ে দিতো, তারপর Physical Memory বা র‍্যাম থেকে সরাসরি ঐ অ্যাড্রেসের ডাটাই Read/Write হতো।

কিন্তু ভার্চুয়াল মেমোরি (Virtual Memory)  আবিষ্কারের পর MMU, Virtual Address কে Physical Memory Address এ map করে যেটা পরে বাসের মধ্যে দিয়ে দেয়া হয়।

Virtual Memory

এখন এই ম্যাপিংটা কিভাবে কাজ করে তা দেখা যাক। ধরে নিন, একটা কম্পিউটার ১৬ বিট অ্যাড্রেস তৈরি করে। যদি ২ বিট তৈরি করতো তাহলে সম্ভাব্য অ্যাড্রেসগুলো কি কি হতে পারতো?

০০, ০১, ১০, ১১; তাই তো? এখন ০০ বাইনারি সংখ্যার দশমিক মান কতো? ০. আর ১১ এর দশমিক মান কত? ৩. তার মানে, ২ বিট ব্যবহার করলে অ্যাড্রেসের রেঞ্জ দাঁড়াবে ০ – ২-১. যদি ৩ বিট হতো তাহলে কি হতো?

০০০, ০০১, ০১০, ০১১, ১০০, ১০১, ১১০, ১১১. ১১১ মানে আসলে কতো? ৭. তার মানে এখানে কি দাঁড়ালো? ০ – ২-১. তাহলে যদি ১৬ বিট হয় তাহলে রেঞ্জ দাঁড়াবে ০ – ২১৬-১. এখন ২১৬ = ৬৫৫৩৬ = ৬৫৫৩৬/১০২৪ = 64KB-1.

এগুলো হলো Virtual Address. কিন্তু ধরা যাক র‍্যামের সাইজ হলো 32KB. তার মানে 64KB সাইজের একটা প্রোগ্রাম হার্ডডিস্কে থাকতে সমস্যা নেই, কিন্তু র‍্যামে হবে না।

তাইলে ক্যামনে কি? দেখা যাক তাহলে। উপরের ছবিটা খেয়াল করুন। বামপাশে লম্বা যে খাম্বা দেখা যাচ্ছে ধরেন এইটা হইলো PowerPoint পুরা সফটওয়্যারটা (সাইজ 64KB)। আর ডানপাশে ছোট যে খাম্বা আছে সেইটা আপনার র‍্যাম (সাইজ 32KB)।

Virtual Address Space টা ছোট ছোট যে ভাগে বিভক্ত সেগুলোকে বলে Virtual Page (Page এর কথা আগেই বলেছি); আর Physical Address Space এর এক একটা unit কে বলে page frame.

এক একটা Page আর page frame এর সাইজ একই। উপরের ছবিতে 4KB করে ভাগ করা হয়েছে, বাট বাস্তবে 512 বাইট থেকে শুরু করে 1GB পর্যন্তও হতে পারে।

তাহলে উপরের ছবিতে আমাদের কয়টা Virtual Page আর page frame আছে? ১৬ আর ৮ টা। এখন ছবিতে যে রেঞ্জগুলো লেখা আছে 0K-4K, 4K-8K এগুলোর মানে কি?

খুব সোজাঃ 0K মানে হচ্ছে 0 * 1024 = 0 আর 4K মানে হচ্ছে (4 * 1024) – 1 = 4095. এখানে 1K মানে ধরতে পারেন 1KB ইন্টারনেটের ডাটা।

যার মানে ১০২৪ বাইট, ১০০০ বাইট না। 1024 = 210. আর 0 – 4095 পর্যন্ত অ্যাড্রেস আছে কিন্তু আসলে 4096 = 4KB = page size; তাই ১ মাইনাস করা হয়েছে।

একইভাবে 4K-8K মানে হচ্ছে (4*1024) থেকে (8*1024 – 1) = 4096 থেকে 8191 এরকম। এখন নিচের কোডটা খেয়াল করুন।

MOV REG, 0

এখানে, যে ভার্চুয়াল অ্যাড্রেস 0 দেয়া আছে সেটা প্রথমে MMU তে যাবে। MMU দেখবে যে 0 পড়ে 0K-4K রেঞ্জের মধ্যে।

তারপর সে ঐ রেঞ্জে গিয়ে দেখবে সেটা ম্যাপিং করা আছে র‍্যামের ২ নাম্বার page frame এ (২ মানে আসলে লিফটের ২ এর মতো)।

কিন্তু ২ নাম্বার page frame তো আসলে একটা frame, স্পেসিফিক অ্যাড্রেসটা কিভাবে পাবো? সোজা ক্যালকুলেশনঃ ভার্চুয়াল অ্যাড্রেস – রেঞ্জের ১ম অ্যাড্রেস। এটাকে অফসেট বলে।

তো র‍্যামের যে page frame এ ম্যাপ করা আছে তার বেস বা ১ম অ্যাড্রেসের সাথে এই অফসেট যোগ দিবেন; কাজ হয়ে যাবে। তাহলে এখানে র‍্যামের অ্যাড্রেসটা কি হবে? ২ নাম্বার page frame এর বেস অ্যাড্রেস কি?

8K = 8192. আর অফসেট কি হবে? 0 (ভার্চুয়াল অ্যাড্রেস) – 0 (রেঞ্জের ১ম অ্যাড্রেস) = 0. অতএব, র‍্যাম অ্যাড্রেস = 8192 + 0 = 8192. এই অ্যাড্রেসটাই এবার MMU বাসের মধ্যে দিয়ে দিবে (১ নং ছবিটা দেখুন)। তারপর র‍্যাম থেকে 8192 অ্যাড্রেসের ডাটা নিয়ে কাজ করা হবে।

এবার এই অংকটা দেখুন।

দেয়া আছে,

ভার্চুয়াল অ্যাড্রেস = 20500

আর ২ নং ছবি।

র‍্যাম অ্যাড্রেস =?

সমাধানঃ Virtual page = Virtual Address / 1024 = 20500 / 1024 = ভাগফল 20, ভাগশেষ 20 (= Offset)

ভাগফল 20 হলে ভার্চুয়াল পেজ রেঞ্জ = 20K-24K = page frame 3.

তাহলে র‍্যাম অ্যাড্রেস = page frame base address + Offset = (12*1024 + 20) = 12308. (Ans.)

এবার নিচের কোডটা দেখুন।

MOV REG, 32780

উপরের মতো অংক কষলে দেখবেন Virtual page range আসে 32K-36K. কিন্তু ছবিতে দেখলে দেখবেন এই পেইজটা র‍্যামে নাই (তাই ম্যাপিং করা নাই)।

বাস্তবে কম্পিউটার হার্ডওয়্যারে একটা Present/absent bit দিয়ে ট্র্যাক করা হয় কোনো পেইজ র‍্যামে আছে নাকি নাই। তো এখন কি করবেন?

এটাকে বলে page fault. এরকম ঘটলে কন্ট্রোল চলে যায় Operating System এর কাছে।

Operating System র‍্যাম থেকে খুব কম ব্যবহার বা রেফার করা একটা page frame কে choice করে আর তারপর এটার ডাটাটা হার্ডডিস্কে গিয়ে লিখে ফেলে।

তারপর page frame টাকে র‍্যাম থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে যে পেইজটা কোডে রেফার করা হয়েছে সেটাকে নিয়ে র‍্যামে নতুন ভাড়াটিয়া হিসাবে ঢুকায়।

তারপর Virtual Page এর ম্যাপিং এ ক্রস এর জায়গায় frame number টা লিখে উপরের কোডটা re-execute করে।

এই উদাহরণটা দিয়ে শেষ করছি। ধরেন, আপনার Operating System ঠিক করলো page frame 1 কে র‍্যাম থেকে ফালায় দিবে।

তাহলে সে যেটা করবে page frame 1 এর ডাটা হার্ডডিস্কে লিখবে, Virtual page range 32K-36K এর ডাটা হার্ডডিস্ক থেকে নিয়ে র‍্যামের page frame 1 এর জায়গায় overwrite করে দিবে।

তারপর যে ভার্চুয়াল পেইজটা page frame 1 কে রেফার করতেছিল, সেখানে ক্রস দিয়ে দিবে আর Virtual page range 32K-36K এর জায়গায় 1 লিখে দিবে।

আশাকরি ভার্চুয়াল মেমোরি (virtual memory) কিভাবে কাজ করে ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন। ভার্চুয়াল মেমোরি (virtual memory) নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন। আজকের ভার্চুয়াল মেমোরি (virtual memory) নিয়ে আলোচনা এ পর্যন্ত রইলো। আগামীতে অন্য কোনো বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। ধন্যবাদ।

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কিভাবে করবেন জানতে পড়ুন :

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন

shadheenbangla

আপনি যদি আপনার শিশু বা অন্য কারো জন্ম নিবন্ধন করতে চান, এই পোস্টটি আপনার জন্য অনেক কাজে আসবে। কারণ অনলাইনে নতুন অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম (Online Jonmo Nibondhon Form) পূরণ করতে কি কি লাগবে এবং নির্ভুলভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করার নিয়ম ছবিসহ বিস্তারিত দেখানো হলো।

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন

 

বর্তমানে আর হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করে আবেদন করা যায় না। আপনাকে অবশ্যই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরন করতে হবে।

নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন – New Birth Registration Application

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ অনুসারে শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক।

বিভিন্ন অসুবিধার কারণে ৪৫ দিনের মধ্যে করতে না পারলেও আমার পরামর্শ থাকবে আপনার শিশুর ৫ বছরের মধ্যে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন করিয়ে নিবেন।

অন্যথায়, ৫ বছর বয়স অতিক্রান্ত হলে জন্ম নিবন্ধন করতে অনেক অতিরিক্ত ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় এবং ঝামেলা পোহাতে হয়।

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম – Jonmo Nibondhon Form Online

আমাদের অনেকেই জানেন না অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কোথায় করতে হয়। তাই এই ব্লগে আমি সব কিছু বিস্তারিত শেয়ার করলাম।

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদনের পুরাতন ওয়েবসাইটটি পরিবর্তন করে নতুন ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন নতুন লিংক হচ্ছে – https://bdris.gov.bd/

জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

ধাপ ১- প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র সংগ্রহ | নতুন অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি লাগবে

নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্য সংগ্রহ করেই অনলাইনে আবেদন করবেন। এতে আবেদন করার সময় নির্ভুলভাবে সকল তথ্য দিতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করার জন্য নিম্মোক্ত তথ্য ও ডকুমেন্টসমূহ প্রয়োজন হবে।

শিশুর বয়স ০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে হলেঃ

  • ইপিআই (টিকা) কার্ড
  • পিতা ও মাতার ডিজিটাল বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (বাংলা ও ইংরেজি বাধ্যতামূলক) কপি
  • পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
  • বাসার হোল্ডিং নম্বর এবং হাল সনের হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ
  • আবেদনকারী পিতা-মাতা/ অভিভাবকের মোবাইল নম্বর

শিশুর বয়স ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর হলেঃ

  • ইপিআই (টিকা) কার্ড / স্বাস্থ্য কর্মীর প্রত্যায়নপত্র (স্বাক্ষর ও সীলসহ)
  • পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (বাংলা ও ইংরেজি বাধ্যতামূলক) কপি
  • পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
  • প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্র (স্বাক্ষর ও সীলসহ)
  • বাসার হোল্ডিং নম্বর এবং হাল সনের হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ
  • আবেদনকারী পিতা-মাতা/ অভিভাবকের মোবাইল নম্বর
  • আবেদন ফরম জমা দেয়ার সময় ১ কপি রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

৫ বছরের বেশি শিশু বা ব্যক্তির জন্যঃ

  • বয়স প্রমাণের জন্য চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র (বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত এমবিবিএস বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী)
  • সরকার কর্তৃক পরিচালিত প্রথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট
  • পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (বাংলা ও ইংরেজি বাধ্যতামূলক) কপি
  • পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
  • অথবা, জন্মস্থান বা স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণের জন্য পিতা / মাতা/ পিতামহ / পিতামহীর দ্বারা স্বনামে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ঘোষিত আবাস স্থলের বিপরীতে হালনাগাদ কর পরিশোধের প্রমানপত্র
  • অথবা, জমি অথবা বাড়ি ক্রয়ের দলিল, খাজনা ও কর পরিশোধ রশিদ। (নদীভাঙ্গন অন্য কোন কারনে স্থায়ী ঠিকানা বিলুপ্ত হলে)

 

ধাপ ২- নিবন্ধনাধীর ব্যক্তির পরিচিতি ও জন্মস্থানের ঠিকানা

অনলাইনে আবেদনের জন্য প্রথমে আপনার কম্পিউটার থেকে https://bdris.gov.bd/ এই লিংকে ভিজিট করুন। এখানে নিচের মত একটি পেইজ পাবেন।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ

আপনি কোন ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধন করাতে চান, এখানে তা বাছাই করুন।

অর্থাৎ যে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন থেকে জন্ম নিবন্ধন করতে চান, সেটি নিবন্ধনাধীন শিশু বা ব্যক্তির কোন ঠিকানায় তা এখানে নির্বাচন করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করার নিয়ম

নামের ২ টি অংশ থাকলে ১ম অংশটি নামের প্রথম অংশের ঘরে লিখবেন ও ২য় অংশটি নামের শেষের অংশে লিখবেন।

যদি নামের ৩টি অংশ থাকে ১ম ২টি অংশ নামের প্রথম অংশে লিখবেন এবং শেষ অংশটি নামের শেষের অংশের ঘরে লিখবেন।

যদি নাম ১ শব্দে হয় অর্থাৎ নামের অংশ ১টি হয়, এক্ষেত্রে প্রথম অংশ খালি থাকবে। শুধুমাত্র নামের শেষ অংশে নাম লিখবেন।

একইভাবে ইংরেজিতেও পূরণ করবেন। এছাড়া, অন্যান্য তথ্যসমূহ ও জন্মস্থানের ঠিকানা সঠিকভাবে পূরণ করুন।

সবশেষে ডান পাশের পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৩- পিতা ও মাতার তথ্য – Father’s and Mother’s Information

এই ধাপে নিবন্ধনাধীন শিশু বা ব্যক্তির পিতা ও মাতার অনলাইন বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জাতীয়তা দিতে হবে।

 

জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ

এখানে পিতা-মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর লিখার পর স্বয়ংক্রীয়ভাবে নামসমূহ আসবে। এগুলো আপনি এডিট করতে পারবেন না।

এজন্য, পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধনটি ডিজিটাল বা অনলাইন কিনা তা অবশ্যই আগে যাচাই করে নিবেন। বাবা মায়ের জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনলাইনে না থাকলে, শিশুর জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যাবেনা।

নিচের লিংক থেকে চেক করে দেখুন জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল কিনা।

https://bdris.gov.bd/br/search

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই

তবে, নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির জন্ম তারিখ ২০০০ সাল বা তার পূর্বে হলে, পিতা-মাতার নাম লিখে দিতে পারবেন এবং পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর না থাকলেও চলবে।

Birth Certificate Verify

তথ্যগুলো পূরণ করা শেষে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৪- স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা – Present and Permanent Address

এ পর্যায়ে আপনাকে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার তথ্য প্রদান করতে হবে। নিচের ছবিটি দেখুন।

 

জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করার নিয়ম

এখান থেকে, কোনটিই নয় বাটনে ক্লিক করুন। এরপর নিচের ছবির মত ঠিকানা দেওয়ার অপশন পাবেন।

জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম

স্থায়ী ঠিকানার ক্ষেত্রে, জন্মস্থান ও স্থায়ী ঠিকানা একই হলে চেক বক্সে টিক দিন (লাল বক্সে চিহ্নিত)। এছাড়া বর্তমান ঠিকানার ক্ষেত্রেও স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা একই হলে (লাল বক্সে চিহ্নিত) চেক বক্সে টিক দিন।

অন্যথায়, ঠিকানাগুলো নির্বাচন করে দিন এবং গ্রাম, বাসা ও সড়ক নম্বর লিখে দিন। এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৫- আবেদনকারীর তথ্য

এ ধাপে যিনি এই জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করছেন, তার তথ্য দিতে হবে। সাধারণত একটি শিশুর জন্ম নিবন্ধনের জন্য দায়ী ব্যক্তি হচ্ছেন পিতা, মাতা, পিতামহ, পিতামহী, মাতামহ, মাতামহী বা আইনগত অভিভাবক। তাই শিশুর জন্ম নিবন্ধনের আবেদন তারাই করে থাকেন।

তাছাড়া আপনি নিজেও নিজের জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারেন। নিজে আবেদন করলে নিজ সিলেক্ট করুন।  অথবা, পিতা, মাতা, পিতামহ, পিতামহী ইত্যাদি সিলেক্ট করবেন।

নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন

সবকিছু ঠিক থাকলে ডান পাশের পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন এবং আবেদনটি সম্পন্ন করুন।

সফলভাবে ফরমটি সাবমিট হলে আপনি প্রিন্ট করার অপশন পাবেন। জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনের সাথে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে জমা দিবেন।

পরবর্তীতে আপনার আবেদনটি অনুমোদন হয়েছে কিনা তার অবস্থা জানতে জন্ম নিবন্ধন আবেদন যাচাই করতে পারবেন অনলাইন থেকে।

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর

নতুন অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কোথায় করতে হয়?

জন্ম নিবন্ধন করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে করতে হয়।

জন্ম নিবন্ধন কখন করতে হয়?

সাধারণত শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করানো উত্তম। তবে শিশুর ৫ বছরের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা সুবিধাজনক। এর বেশি বয়স হলে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অনেক বেশি দিতে হয় যা অত্যন্ত ঝামেলাপূর্ণ।

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি লাগে

শিশুর/ ব্যক্তির বয়স অনুসারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কিছুটা ভিন্ন হবে। বয়স ৫ বছরের বেশি হলে সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের অতিরিক্ত ডকুমেন্টের প্রয়োজন হবে। জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে তা জানতে পড়ুন- জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে

জন্ম নিবন্ধন করতে কত টাকা লাগে?

[wptb id=30]

জন্ম নিবন্ধন কিভাবে করতে হয়?

শিশুর বা কোন ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন করার জন্য প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি ও অনলাইন আবেদনের প্রিন্ট কপি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে জমা দিতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন কি দুইবার করা যায়?

না। জন্ম নিবন্ধন ২য় বার করা যাবে না। স্বয়ংক্রীয়ভাবে সার্ভারে ডুপ্লিকেট এন্ট্রি দেখাবে।

কিভাবে জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে আবেদন করতে হয়?

কিভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করবেন তা বিস্তারিত দেখতে পড়ুন – নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন

বিবাহিত নারীর ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনে কি স্বামীর নাম লেখা যাবে?

না। জন্ম নিবন্ধনে স্বামীর নাম লেখার কোন সুযোগ নেই। পিতা ও মাতার নাম লিখতে হবে।

পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন না থাকলে কিভাবে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যাবে?

২০২২ সালের নতুন আপডেট অনুসারে, ২০০১ বা তার পরে জন্মগ্রহণকারী সকল শিশুর জন্ম নিবন্ধন করতে পিতা ও মাতার জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ছাড়া শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা যাবে না।

জন্ম নিবন্ধনের আবেদনের সময় ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ সমস্যার সমাধান কি?

‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ টি একই জেলায় হলে অথরাইজড ইউজার বা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) প্রয়োজনীয় অনু্সন্ধান করে বিষয়টির নিষ্পত্তি করবেন। ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ টি একই জেলায় না হলে প্রথমে প্রশাসনিকভাবে ভিন্ন জেলার সাথে যোগাযোগ করে অনু্সন্ধান বা তদন্ত করতে হবে। এতে ডুপ্লিকেট হওয়ার অনুকুলে কোনো তথ্য পাওয়া না গেলে আবেদনকারীকে ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কাছে থেকে অন্যত্র তার জন্ম নিবন্ধন করা হয়নি মর্মে লিখিত নিয়ে আবেদনটি মঞ্জুর করা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে হবে।

৫টি ‘প্যারামিটার’ মিলে গেলে ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ ১০০% ‘ডুপ্লিকেট’ হিসাবে প্রতীয়মান হয়। প্যারামিটারগুলো হচ্ছে ক. আবেদনাধীন বাক্তির নাম, খ. পিতার নাম, গ. মাতার নাম, ঘ. নিবন্ধন কার্যালয়ের নাম, এবং ঙ. জন্ম তারিখ। ‘ডুপ্লিকেট’ হিসাবে চিহ্নিত ব্যক্তিগণের জন্ম তারিখের ব্যবধান ৮ / ১০ বছর বা তার বেশি হলে বা স্থায়ী ঠিকানা না মিললে ‘ডুপ্লিকেট’ হবার সম্ভাবনা সাধারণত ০% হয়ে যায়।

 

অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন করতে পড়ুন ঃ

নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র বা নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার অনলাইন পদ্ধতি

 

অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে পড়ুন ঃ

জাতীয় পরিচয় পত্র বা NID সংশোধন করার নিয়ম

 

ভার্চুয়াল মেমোরি সম্পর্কে জানতে পড়ুন ঃ

ভার্চুয়াল মেমোরি কি? ভার্চুয়াল মেমোরি কিভাবে কাজ করে?

shadheenbangla

যদি আপনার স্থায়ীভাবে করযোগ্য আয় না থাকলে তাহলে আপনি চাইলে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে পারেন। কিভাবে টিন সার্টিফিকেট (TIN Certificate) বাতিল করা যায় সেটা জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।

অনেকের করযোগ্য আয় না থাকলেও বিশেষ কোন প্রয়োজনে টিন রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। আপনিও হয়তো সেরকম কোনো কারণে টিন সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন করেছেন। কিন্তু এখন টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে চান। তাহলে জেনে নিন টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম।

এনবিআর থেকে সরাসরি টিআইএন বাতিল করার কোন নিয়ম রাখা হয়নি তাই আপনি চাইলেই সহজেই টিন সার্টিফিকেট (TIN Certificate) বাতিল করতে পারবেন না

Income Tax Ordinance 1984 মতে যদি কোন আয়বছরে বা তার পূর্বের বছরসহ পরপর ৩ বছরের মধ্যে ব্যক্তির করযোগ্য আয় থাকে, তবে তাকে কর রিটার্ন জমা দিতে হবে।

টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম

অর্থাৎ পরপর ৩ বছরের মধ্যে আপনার কোন করযোগ্য আয় (পুরুষ ৩ লক্ষ এবং মহিলা ৩.৫ লক্ষ টাকা) না থাকলে আপনাকে আয়কর রিটার্ণ দাখিল করতে হবে না।

কিন্তু আপনার বার্ষিক করযোগ্য আয় নেই এটার প্রুফ হিসেবে উক্ত ৩ বছরের রিটার্ণ জমা দিতে হবে।

এক্ষেত্রে যেহেতু আপনার আয় নেই আপনি শুন্য রিটার্ন জমা দিবেন। তারপর থেকে অর্থাৎ ৪র্থ বছর আপনাকে আর আয়কর রিটার্ণ জমা দিতে হবে না।

৪র্থ বছরের পর আপনার ট্যাক্স সার্কেল উপ-কর কমিশনারের এর অফিসে গিয়ে TIN Certificate বাতিলের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

টিন সার্টিফিকেট (TIN Certificate) বাতিলের কিছু শর্ত আছে। যদি সেসব শর্ত পূরণ হয় তাহলে আপনি টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার আবেদন পারবেন।

টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার শর্তাবলী

যদিও সাধারণত টিন সার্টিফিকেট (TIN Certificate) বাতিল হয় না। ক্ষেত্রবিশেষে এটি শর্ত সাপেক্ষে বাতিল করা হয়ে থাকে।

  • করদাতা মারা গেলে এবং টিন চালু রাখার মত কোন কার্যক্রম না থাকলে তার ওয়ারিশ টিন সার্টিফিকেট বন্ধ করার আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে টিন রেজিস্ট্রেশন স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে।
  • নন রেসিডেন্ট বিদেশী নাগরিক যার বাংলাদেশে কোন স্থায়ী ভিত্তি নেই।
  • বিশেষ কোন কারণে TIN Certificate গ্রহণ করলেও বর্তমানে ও ভবিষ্যতে করদাতার আয় শুন্য হলে বা করযোগ্য কোন আয় না থাকলে।

টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম

টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে হলে প্রথমে পর পর ৩ বছর শুন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। এরপর আপনার Taxes Circle এর উপ-কর কমিশনার বরাবর টিন সার্টিফিকেট বাতিলের উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদনের সাথে অবশ্য আপনার পূর্বের দাখিল করা রিটার্নের রিসিট, জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি জমা দিন। উপ-কর কমিশনার আপনার আবেদন যথোপযুক্ত মনে করলে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করবেন।

টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য ২টি কারণ থাকতে পারে, ১) করদাতা মারা গেলে, ২) করযোগ্য আয় না থাকলে।

এক্ষেত্রে কিভাবে টিন সার্টিফিকেট বন্ধ করার নিয়ম নিচে ব্যাখ্যা করা হলো।

করদাতা মারা গেলে

টিন সার্টিফিকেট ধারী করদাতা মারা গেলে এবং ভবিষ্যতে উক্ত টিন সার্টিফিকেট কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ব্যবহার করার প্রয়োজন না হলে টিন রেজিস্ট্রেশন বাতিল এর জন্য আবেদন করা যাবে।

উপকর কমিশনার তদন্ত এবং শুনানি করে মাধ্যমে অথবা আবেদনের উপর ভিত্তি করে আপনার টিআইএন এর কার্যক্রম স্থগিত বা বাতিল করতে পারেন।

করদাতা মারা গেলে, টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য যা যা প্রয়োজন হবে,

  • ওয়ারিশ কর্তৃক লিখিত আবেদন
  • টিন সার্টিফিকেটের কপি
  • পূববর্তী আয়কর রিটার্নের রিসিট/প্রত্যয়ন কপি
  • করদাতার মৃত্যু সনদের কপি
  • করদাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি

করযোগ্য আয় না থাকলে

করযোগ্য আয় না থাকলে ধারাবাহিকভাবে ৩ বছর শুন্য রিটার্ন দাখিল করতে হবে। তারপর উপ-কর কমিশনার বরাবর লিখিত আবেদন করতে হবে।

করযোগ্য আয় না থাকলে, টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য প্রয়োজন হবে,

  • লিখিত আবেদন
  • টিন সার্টিফিকেটের কপি
  • পূববর্তী আয়কর রিটার্নের রিসিট/প্রত্যয়ন কপি
  • করদাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি

শেষকথা

করযোগ্য আয় না থাকলে টিন বন্ধ বা বাতিল করার করতে পারেন। তবে এটা রেখে দিলেও সমস্যা নাই। কারণ পরপর ৩ বছর করযোগ্য আয় না থাকলে আপনাকে পরবর্তী বছর থেকে রিটার্ণ জমা দিতে হবে না।

তবুও আপনি চাইলে টিন সার্টিফিকেট বন্ধ করার আবেদন করতে পারেন। আপনার আবেদন সন্তোষজনক মনে হলে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করে দেয়া হবে।

সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর

আমার কোন আয় নেই, কিভাবে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করব?

আপনার কোন আয় না থাকলে ধারাবাহিকভাবে ৩ বছর আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। এরপর পূনরায় করযোগ্য আয় না হওয়া পর্যন্ত রিটার্ন জমা দিতে হবে না। তবে আপনি চাইলে টিন সার্টিফিকেট বন্ধ করার আবেদন করতে পারেন। আপনার আবেদন সন্তোষজনক মনে হলে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করে দেয়া হবে।

অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম কি?

অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট (TIN Certificate) বাতিল করার কোন সুযোগ এখনো পর্যন্ত নেই। আপনাকে স্ব-শরীরে কর অফিসে গিয়ে লিখিত আবেদন করে টিন বাতিল করতে হবে।

shadheenbangla

মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা আয় করার উপায়

 

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় কি? 

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার একাধিক উপায় রয়েছে। যদি আপনার হাতে একটি ফোন আর ইন্টারনেট সংযোগ থাকে, তাহলেই এখনি নেমে পড়তে পারেন মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে। মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় সমুহ হলোঃ

  • ইউটিউব ভিডিও তৈরী করে
  • ব্লগিং করে
  • ফ্রিল্যান্সিং করে
  • ফটোগ্রাফ বা ভিডিও বিক্রি করে
  • অনলাইন টিউশন করে
  • ফেসবুক ই-কমার্স দ্বারা
  • রিসেলিং ব্যবসা করে
  • ইন্সটাগ্রাম থেকে
  • মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে
  • ইনভেস্টমেন্ট সাইট থেকে
  • ডেলিভারি সার্ভিস এর মাধ্যমে
  • ড্রাইভিং করে
  • টাকা ইনকাম করার অ্যাপস দিয়ে
  • মোবাইল দিয়ে বিকাশ থেকে ইনকাম

১। ইউটিউব ভিডিও তৈরী করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম 

আপনার হাতের স্মার্টফোনটি কিন্তু যথেষ্ট শক্তিশালী। ভিডিও রেকর্ড থেকে শুরু করে ভিডিও এডিট ও আপলোড পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া মোবাইল ফোনেই করা যায়। মোবাইল দিয়ে ভিডিও তৈরী করে ইউটিউবে আপলোড করে গুগল এডসেন্স প্রোগ্রামে যুক্ত হয়ে আয় করা সম্ভব। এছাড়া যথেষ্ট বেশি সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার পেলে বিভিন্ন স্পন্সরড ভিডিও বানিয়েও টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

কী নিয়ে ইউটিউব ভিডিও বানাবেন, সেটা নিয়ে ভাবছেন? বর্তমানে ইউটিউবে সকল ধরণের ভিডিও কনটেন্ট এর চাহিদা ও ভিউয়ার রয়েছে। নির্দিষ্ট টপিক সিলেক্ট করে সেই বিষয়ক ভিডিও মোবাইলে তৈরী করে ইউটিউব দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে পারে যেকেউ।

ইউটিউব চ্যানেলে গুগল এডসেন্স যুক্ত হওয়ার এই প্রক্রিয়াটি ইউটিউব মনিটাইজেশন নামে পরিচিত। একটি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ হতে গেলে প্রয়োজন হয়ঃ

  • বিগত ৩৬৫ দিনে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম
  • মোট ১০০০ সাবস্ক্রাইবার

উল্লেখিত দুইটি শর্ত পুরণ হয়ে গেলেই ইউটিউব থেকে আয় শুরু হয়। একটু আগেই যেমন বললাম, আপনার চ্যানেল কিছুটা বড় হতে শুরু করলে ইউটিউব মনেটাইজেশন এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্পন্সারশিপ থেকেও আয় সম্ভব। এছাড়াও ইউটিউব এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেও ইনকাম করা সম্ভব।

২। ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম 

দিনদিন অনলাইনে লেখার চাহিদ বাড়ছে। সে কথা মাথায় রেখে আপনিও হাতের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে খুলে ফেলতে পারবেন একটি ব্লগ। আপনার ব্লগ এ গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল নিতে পারলেই শুরু হয়ে যাবে আয়।

ব্লগিং শুরু করতে প্রথমে ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার কিংবা অন্য কোনো ব্লগিং ওয়েবসাইট ব্যবহার করে নিজের ব্লগিং সাইট সেটআপ করুন। এরপর ধীরেধীরে কনটেন্ট পোস্ট করুন ও ব্লগে যথেষ্ট পরিমাণ মানসম্মত কনটেন্ট থাকলে গুগল এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করুন। গুগল এডসেন্স এপ্রুভ হয়ে গেলে আপনার ব্লগে এড দেখানোর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। এছাড়াও ব্লগে স্পন্সরড পোস্ট ও অ্যাফিলিয়েট পোস্টিং এর মাধ্যমেও আয়ের সুযোগ রয়েছে।

উল্লেখ্য যে,  ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার ক্ষেত্রে প্রথমে ব্লগের ডোমেইন ও হোস্টিং কিনতে কিছু অর্থ খরচ হবে। আপনি যদি এই খরচ বহনে অপারগ হন, সেক্ষেত্রে অন্য কোনো ব্লগেও অর্থের বিনিময়ে লিখতে পারেন।

৩। ফ্রিল্যান্সিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম 

ফ্রিল্যান্সিং মানে শুধু নির্দিষ্ট কোনো কাজ  নয়। কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে নিজের দক্ষতা ব্যবহার করে কাজ করে অর্থ উপার্জনকেই বলা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে ফ্রিল্যান্সারগণ মোবাইলের মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করে থাকেন।

আপনিও যদি ফ্রিল্যান্সিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার কোনো একটি স্কিল অর্থাৎ দক্ষতা থাকার প্রয়োজন পড়বে। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি এক বা একাধিক কাজ করতে পারেন। মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো হলোঃ

  • কনটেন্ট রাইটিং
  • ট্রান্সলেশন
  • কপিরাইটিং
  • ব্লগ কমেন্টিং
  • ফোরাম পোস্টিং
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
  • প্রুফরিডিং
  • প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন রাইটিং
  • ট্রান্সক্রিপশন, ইত্যাদি

৪। মোবাইল দিয়ে ফটো ও ভিডিও বিক্রি করে টাকা ইনকাম 

আপনার হাতে থাকা ফোনটি যদি ভালো ছবি ক্যাপচার করতে সক্ষম হয় এবং আর আপনারও যদি ফটোগ্রাফি সম্পর্কে ধারণা থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার মোবাইল দিয়ে তোলা ছবি বা ভিডিও বিক্রি করেও আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন।

হতে পারে ফটোগ্রাফি আপনার শখ। এই শখকে কাজে লাগিয়ে আপনিও মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে পারেন। ছবি ও ভিডিও বিক্রির জন্য অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে। এমন মোবাইল ফটোগ্রাফি বিক্রির কিছুর জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বা সার্ভিস হলোঃ

  • শাটারস্টক
  • ফোপ
  • আইএম
  • স্ন্যাপওয়্যার
  • ড্রিমসটাইম

এসব সাইটে স্টক ইমেজ ছাড়াও প্রায় সকল ধরনের ছবিই কেনাবেচা হয়। আপনি যে ধরনের ছবিই তুলুন না কেনো, এসব সাইটে মোবাইল দিয়ে তোলা ছবি বিক্রি করে আয় করা সম্ভব।

৫। অনলাইন টিউশন করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম 

ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে অনলাইনে শেখার গুরুত্ব বেড়েই চলেছে। আপনি যদি কোনো বিষয়ে পারদর্শী হন, সেক্ষেত্রে উক্ত বিষয়ে অনলাইনে মোবাইলের মাধ্যমে অন্যদের পড়ানোর মাধ্যমেও আয় করতে পারেন।

অনলাইন টিউশান এর পাশাপাশি বিভিন্ন কোর্স বানাতে পারেন, যা বিক্রি করেও আয় করা সম্ভব। এছাড়াও আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সে বিষয় নিয়ে কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেও আয় করতে পারেন।

ধরুন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং ভালো বুঝেন। সেক্ষেত্রে আপনার কাছে একাধিক আয়ের পথ খোলা রয়েছে, তাও মোবাইল দিয়েই। প্রথমত আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা দিয়ে আয় করতে পারেন। এরপর অন্যদের ডিজিটাল মার্কেটিং অনলাইনে শিখিয়েও আয় করতে পারেন। এভাবে আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে পারেন।

৬। ফেসবুক ই-কমার্স দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম 

পূর্বে ব্যবসা শুরু করা একটি লম্বা প্রসেস ছিলো। তবে ফেসবুক ব্যবহার করেই বর্তমানে যেকোনো ধরনের অনলাইন ব্যবসা বা ই-কমার্স শুরু করা সম্ভব ঘরে বসেই। দেশে ফেসবুক এর অসংখ্য ইউজার রয়েছে। প্রত্যেক ব্যবহারকারীই  ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে হয়ে উঠতে পারে আপনার কাস্টমার।

ফেসবুক ব্যবহার করে ই-কমার্স বিজনেস করতে আপনার ইনভেস্ট করতে হবে কিছু প্রোডাক্ট কেনার জন্য। এরপর উক্ত প্রোডাক্ট আপনার ফেসবুক ই-কমার্স পেজের ক্যাটালগে এড করে দিয়ে যেসব জায়গা থেকে সেল আসা সম্ভব, সেসব জায়গায় শেয়ার করুন। আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি হতে বেশি সময় লাগবেনা যদি ব্যবহারকারীগণ ইচ্ছুক হয়।

বর্তমানে অনলাইন শপিং এর জনপ্রিয়তার বৃদ্ধির বদৌলতে ফেসবুক অনলাইন শপ পেজগুলো থেকে পণ্য ক্রয়ের হার অত্যাধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সাপ্লাই ডিমান্ডের কথা মাথায় রেখে অনলাইন বিজনেস শুরু করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে পারেন আপনিও।

৭। ফেসবুক মনিটাইজেশন দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম 

ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও রয়েছে মনিটাইজেশন সুবিধা। ফেসবুক পেজ মনেটাইজ করে পেজে পোস্ট করা ভিডিও থেকে আয় করা সম্ভব। ফেসবুক পেজ মনেটাইজ করতে প্রয়োজনঃ

  • গত ৬০ দিনের মধ্যে ৬০০,০০০ মিনিট ওয়াচ টাইম
  • সর্বনিম্ন ৫টি একটিভ ফেসবুক ভিডিও
  • ১০ হাজার পেজ ফলোয়ার

এছাড়াও আপনি ফেসবুক ও ইউটিউব এর জন্য একই কনটেন্ট তৈরী করে দুইটি প্ল্যাটফর্মে আপলোড করতে পারেন। সেক্ষেত্রে সফলতার সম্ভাবনার হার বেশি থাকে।

মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা আয় করার পদ্ধতি

 

ফেসবুক থেকে ইনকাম এর একাধিক মডেল রয়েছে, যেমনঃ ইন-স্ট্রিম এড, earn money with mobile ফ্যান সাবস্ক্রিপশন, ব্র‍্যান্ডেড কনটেন্ট ও সাবস্ক্রিপশন গ্রুপ। ফেসবুকে যেহেতু ভিডিও শেয়ারিং এর মাধ্যমে খুব সহজেই ভাইরাল করা যায়, সেক্ষেত্রে সময় দিলে ফেসবুক পেজ মনেটাইজেশন তুলনামূলক সহজ একটি কাজ।

৮। রিসেলিং ব্যবসা করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম 

রিসেলিং ব্যবসাকে সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। ধরুন, আপনি ৫০টাকা দরে এক ডজন কলম কিনলেন এবং ৬৫টাকা দরে বিক্রি করলেন। বাড়তি যে দামে বিক্রি করবেন, সেটাই আপনার লাভ। এটাই হচ্ছে মূলত রিসেলিং ব্যবসার মডেল।

আপনি অনলাইনে শপ খুলে প্রোডাক্ট লিস্ট করতে পারেন। এরপর যখনই আপনি অর্ডার পাবেন, তখন কমদামে ওই পণ্যটি কিনে আপনি গ্রাহকের কাছে পৌছে দিবেন। রিসেলিং ব্যবসার সুবিধা হলো, আপনাকে প্রোডাক্ট স্টোর করে রাখার পেছনে কোনো  টাকা খরচ করতে হবেনা। শুধুমাত্র ফোন ব্যবহার করেই আপনি এই ব্যবসা করতে পারবেন ঘরে বসেই।

৯। ইন্সটাগ্রাম থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় 

ইন্সটাগ্রাম শুধুমাত্র একটি ফটো বা ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মই নয়, এর থেকে আয় করাও সম্ভব। ইন্সটাগ্রাম থেকে একাধিক মাধ্যমের সাহায্যে আয় সম্ভব। ইন্সটাগ্রাম এ আয় করার উপযোগী প্রোফাইল তৈরি করতেঃ

  • একটি আকর্ষণীয় প্রোফাইল বায়ো তৈরী করুন
  • নিয়মিত নির্দিষ্ট বিষয় এর আঙ্গিকে পোস্ট করুন
  • পোস্ট এর কোয়ালিটি বজায় রাখুন
  • একই ধরনের অন্য প্রোফাইলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করুন
  • ফলোয়ারদের সাথে এনগেজমেন্ট স্থাপন করুন

একটি মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগের দরকার ইন্সটাগ্রাম থেকে টাকা আয় করতে। ইন্সটাগ্রাম থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার কিছু উপায় হলোঃ

  • টাকার বিনিময়ে অন্যের একাউন্ট প্রোমোট করে
  • স্পন্সরড পোস্ট করে
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে
  • নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করে, ইত্যাদি

অন্যসব প্ল্যাটফর্মের মতোই ইন্সটাগ্রামে কনটেন্ট এর বিশাল চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি এই চাহিদা অনুযায়ী কনটেন্ট সাপ্লাই দিতে পারেন, সেক্ষেত্রে খুব সহজেই অল্পদিনের মধ্যে আপনার ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইল জনপ্রিয় হয়ে যাবে ও আয় করতে পারবেন।

১০। মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় 

ছোটোখাটো অনেক সহজ কাজ, যেমনঃ পোস্ট শেয়ার, ভিডিও দেখা, কমেন্ট করা, অ্যাপ ইন্সটল ইত্যাদির কাজের বিনিময়ে কিছু সাইট অর্থ প্রদান করে থাকে। এসব সাইটকে মাইক্রোওয়ার্ক সাইট বলে। এসব সাইটের সুবিধা হচ্ছে, যেকেউ যেকোনো ডিভাইস এমনকি মোবাইল দিয়েও এসব সাইট থেকে আয় করতে পারে। কিছু জনপ্রিয় মাইক্রোওয়ার্ক সাইট হলোঃ

মাইক্রোওয়ার্কার্স

পিকোওয়ার্কার্স, ইত্যাদি

১১। ইনভেস্টমেন্ট বা ট্রেডিং সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়

ব্যাংক যে টাকা রাখার বিনিময়ে সুদ প্রদান করে, এটা আমাদের সকলের জানা। কিন্তু ব্যাংক থেকে উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণ অর্থ লাভ করতে প্রয়োজন বিশাল অংকের অর্থ। এছাড়া অনেকে সুদ অপছন্দ করেন। বর্তমানে আপনাকে টাকা ইনভেস্ট করার বিনিময়ে লাভ দিতে পারে এই ইনভেস্টমেন্ট সাইটগুলো।

ইনভেস্টমেন্ট সাইট অনেক থাকলেও, অনেক ইনভেস্টমেন্ট সাইটের আড়ালেই থাকে প্রতারণার সম্ভাবনা। তাই যেকোনো ইনভেস্টমেন্ট সাইটে যেকোনো অংকের অর্থ ইনভেস্ট এর আগে এটা নিশ্চিত করুন যে, সাইটটি প্রতারক নাকি আসলেই কাজ করে।

১২। ডেলিভারি সার্ভিস এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় 

বাংলাদেশে অনলাইন শপিং মার্কেটপ্লেস এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রয়োজন বাড়ছে ডেলিভারি সার্ভিস প্রদান করার জন্য লোকবলের। আপনার কাছে যদি একটি সাইকেল বা বাইক এবং হাতের কাছে একটি স্মার্টফোন থাকে, সেক্ষেত্রে যুক্ত হতে পারেন ফুডপান্ডা, সহজ ফুড এর মতো ফুড ডেলিভারি সার্ভিসে। এই ডেলিভারি সার্ভিস এর কাজ পার্ট-টাইম ও ফুল-টাইম, আপনার ইচ্ছামত যেকোনো উপায়েই করতে পারেন।

১৩। ড্রাইভিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় 

সম্প্রতি দেশে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসগুলো যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নতি নিয়ে এসেছে। আপনার যদি রাইড শেয়ারিং করার মতো একটি যানবাহন ও একটি স্মার্টফোন থাকে, তবে এখনই আয় শুরু করতে পারেন।

পাঠাও, উবার এর মতো রাইড শেয়ারিং সার্ভিসগুলোতে কাজ করা যায় পার্ট-টাইমও। আপনি যদি ইনকামের একটি আলাদা সোর্স খুঁজে থাকেন, তবে রাইডে শেয়ারিং সার্ভিসে ড্রাইভিং করে মোবাইল দিয়েই ইনকাম করতে পারবেন।

১৪। মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার অ্যাপস 

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার অসংখ্য অ্যাপ থাকলেও খুব কম অ্যাপেই টাকা ইনকাম করা যায়। এসব অ্যাপ থেকে উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণ অর্থ আয় করা না গেলেও হাত খরচের টাকা তোলা সম্ভব। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার কিছু উল্লেখ্যোগ্য অ্যাপঃ

  • পকেট মানিঃ এই অ্যাপটিতে বিভিন্ন গেম খেলে, সার্ভে কমপ্লিট করে ও কন্টেস্টে অংশগ্রহণ করে আয় করা যাবে। এছাড়াও অ্যাপে অন্যদের রেফার করলেও থাকছে ১৬০ টাকা পর্যন্ত বোনাস। টাকা তোলা যাবে মোবাইল রিচার্জ এর মাধ্যমে।
  • পোল পেঃ এই অ্যাপটি মূলত বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবহারকারীর মতামত এর জন্য পে করে থাকে। এটি একটি অপিনিওন ও আনসার রিওয়ার্ড অ্যাপ। অর্জিত ক্রেডিট তোলা যাবে গুগল প্লে, নেটফ্লিক্স, আমাজন, এক্সবক্স ইত্যাদির গিফট কার্ড হিসেবে। আপনি এই গিফট কার্ডটি চাইলে ব্যবহার করতে পারবেন বা বিক্রিও করতে পারবেন।
  • গুগল অপিনিওন রিওয়ার্ডঃ এই অ্যাপটি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে অনেক জনপ্রিয়। অ্যাপটি মূলত বিভিন্ন সার্ভে কমপ্লিট এর জন্য গুগল প্লে ক্রেডিট দিয়ে থাকে।

১৫। মোবাইল দিয়ে বিকাশ থেকে ইনকাম 

হ্যাঁ, বিকাশ থেকেও মোবাইলে টাকা ইনকাম সম্ভব। বিকাশ থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা অত্যন্ত সহজ। মূলত বিকাশ অ্যাপ রেফার করে বিকাশ দিয়ে ইনকাম করা যায়। বিকাশ অ্যাপ রেফার করে ১০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস পাওয়া যাবে। বিকাশ অ্যাপ দিয়ে মোবাইলে আয় করতেঃ

  • বিকাশ অ্যাপে প্রবেশ করুন তারপর ডানদিকের বিকাশের লোগো টিতে ক্লিক করুন
  • ‘রেফার বিকাশ অ্যাপ’ এই অপশন থেকে আপনি ‘রেফার’ এ ক্লিক করুন
  • অ্যাপের লিংকটি যেকোন মাধ্যম, যেমনঃ মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, এসএমএস, ই-মেইল, ইমো, ইত্যাদির মাধ্যমে শেয়ার করুন
  • যিনি আপনার রেফারেল লিংক ব্যবহার করে বিকাশ অ্যাপ দিয়ে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি তুলে একাউন্ট খুলে লগ ইন করবেন, তখনই তিনি পাবেন ২৫ টাকা ইনস্ট্যান্ট বোনাস।
  • এরপর বিকাশ অ্যাপ থেকে প্রথমবার যেকোনো পরিমান মোবাইল রিচার্জ বা ক্যাশ আউট করলে তিনি পাবেন আরও ২৫ টাকা ক্যাশব্যাক বোনাস। সর্বমোট ৫০ টাকা বোনাস পাবেন গ্রাহক। আপনিও বোনাস পাবেন।

উপরে উল্লিখিত ১৫টি উপায়ে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় এর মধ্যে কোন উপায়টি আপনার সবচেয়ে পছন্দের বা ভালো লেগেছে? সেটি আমাদেরকে কমেন্ট সেকশনে জানাতে ভুলবেন না। এছাড়া আপনার আইডিয়াও শেয়ার করুন আমাদের সাথে!

মোবাইল ফোন স্লো থেকে ফার্স্ট করার ৫টি উপায়

মোবাইলের স্টোরেজ খালি করুন সহজেই

মোবাইলের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? রিকভার করার ৫টি উপায়

 

shadheenbangla

বিকাশে অটো টাকা কাটা বন্ধের নিয়ম

এই পোস্টে বিকাশে অটো টাকা কাটা বন্ধের নিয়ম নিয়ে আলোচনা করবো। বিকাশ একাউন্ট হতে মাঝেমধ্যে অটো টাকা কেটে নিতে লক্ষ্য করা যায়। চলুন আমরা সকল মোবাইল ফোন ব্যাংকিং পরিসেবা থেকে অটোমেটিক টাকা কাটা বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।

বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন, ওয়েবসাইট, এপস বা সার্ভিসে মোবাইল ফোন ব্যাংকিং সেবা (যেমন বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়) এর মাধ্যমে পেমেন্ট / কেনাকাটা কিংবা সাবস্ক্রিপশন নেওয়ার অপশন থাকে। ধরুন আপনি এরকম একটা পেমেন্ট করলেন বা সাবস্ক্রিপশন নিলেন।

মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের (যেমন বিকাশ, bkash auto taka নগদ, রকেট, উপায়)  মাধ্যমে পেমেন্ট শেষ করার জন্য পিন কোড এবং ওটিপি প্রদান করার পর উক্ত অ্যাপ্লিকেশন বা সেবার মধ্যে মাসিক বা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে সাবস্ক্রাইব করার অপশন থাকে।

আমরা অনেকেই বেখেয়ালে সেসব অপশনে টিক চিহ্ন দিয়ে ফেলি এবং সাবমিট করে দিই। ফলে উল্লিখিত ওয়েবসাইট আপনার বিকাশের ইনফরমেশন সেভ করে নিয়েছে। সেই ওয়েবসাইট কিংবা এপস তখন সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক, ষান্নাসিক অথবা বার্ষিক হিসেবে চার্জ করা শুরু করে দেয়।

এর ফলে প্রতি মাসে/নির্দিষ্ট সময় পর পর মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট হতে টাকা কেটে নেওয়া হয়। এই টাইপের ঝামেলার মুখোমুখি হলে কি করণীয় হতে পারে কিভাবে আপনি মুক্তি পেতে পারেন সেই বিষয়ে এই পোস্টে আলোচনা করা হবে।

আপনি OTP এবং Pin Code দেওয়ার পর তারা আপনার অনুমতি নিয়েই আপনার বিকাশের ইনফরমেশন সেভ করে বা সংরক্ষিত রাখে, যাতে পরে আপনাকে চার্জ করা যায়। এসব ক্ষেত্রে আপনার অসাবধানতার কারণেই এটা ঘটে, সাইটকে দোষ দিয়ে লাভ নাই। এসব ক্ষেত্রে পেমেন্ট অপশনে লেখাই থাকবে যে তারা ইনফরমেশন সেভ করবে।

এখন আপনি সার্ভিস ইউজ করুন বা না করুন একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর উল্লিখিত ওয়েবসাইট বা এপস আপনার মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস (যেমন বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়)  থেকে টাকা কেটে নিয়ে যাবে। চলুন এই টাকা কাটা সমস্যার সমাধান জেনে নিই।

বিকাশে অটো টাকা কাটা বন্ধের নিয়ম

বিকাশে অটো টাকা কাটা বন্ধের সমাধান ১

মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট (যেমন বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়) হতে টাকা কেটে নিয়ে গেলে, সেই সমস্যার একের অধিক সমধান হতে পারে। এই পোস্টে দেয়া সমাধানগুলো পর্যায়ক্রমে চেষ্টা করুন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক বিকাশে অটো টাকা কাটা বন্ধ করবেন কিভাবে। বিকাশে অটো টাকা কাটা সমস্যার প্রথম সমাধান বেশ সহজ। বিকাশে অটো টাকা কেটে নেওয়ার সবচেয়ে কমন রিজন হতে পারে কোনো সার্ভিসের সাবস্ক্রিপশন ফি।

অনেক সময় কোনো ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন থেকে কোনো সেবা কেনার সময় তা ওয়ান-টাইম এর স্থলে সাবস্ক্রিপশন একটিভ হয়ে যায়। যদি সাবস্ক্রিপশন একটিভ হয়ে যায় তাহলে সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক, ষান্নাসিক অথবা বার্ষিক হিসেবে চার্জ করা শুরু করে দেয়।

যদি এটাই টাকা কাটার কারণ হয়ে থাকে তাহলে টাকা কাটা ওয়েবসাইটে অর্থাৎ যে ওয়েবসাইটের সাবস্ক্রিপশনের জন্য টাকা কেটে নিচ্ছে সেই ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের একাউন্টে সাইন ইন করুন। এবার ওয়েবসাইটের অপশন থেকে সাবস্ক্রিপশন রিনিউয়াল অফ অথবা ক্যান্সেল করে দিন। এতে বিকাশে অটো টাকা কাটা বন্ধ হয়ে যাবে।

বিকাশে অটো টাকা কাটা বন্ধের সমাধান ২

যদি উক্ত ওয়েবসাইটে সাইন ইন করার পর কোনো ধরনের সাবস্ক্রিপশন রিনিউয়াল বন্ধ অথবা ক্যান্সেল করার অপশন দেখতে না পান তাহলে বুঝে নিতে হবে ওয়েবসাইটে কোথাও ঝামেলা আছে। তাই এই ধরনের অবস্থায় উল্লিখিত ওয়েবসাইট কাস্টমার সাপোর্ট এর সাথে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধানের ট্রাই করতে পারেন।

প্রায় প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের Contact পেজে উক্ত ওয়েবসাইটের সাপোর্ট টিমের সঙ্গে যোগাযোগের নাম্বার ও ইমেইল থাকে। যদি কন্টাক্ট নাম্বার না পান তাহলে www.whois.com এই সাইটে গিয়ে আপনার টাকা কেটে নিচ্ছে যে সাইট সেটার ওয়েব এড্রেস লিখে সার্চ করুন। প্রায় সব ক্ষেত্রে পাওয়া না গেলেও অনেক সময় আপনি ওয়েবসাইট মালিক, টেকনিক্যাল বা সাপোর্ট টিমের তথ্য পেয়ে যাবেন। সেই তথ্য ব্যবহার করে ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট এর সাথে যোগাযোগ করে ঝামেলার সমাধান করা যেতে পারে।

বিকাশে অটো টাকা কাটা বন্ধের সমাধান ৩

এবার আসি তৃতীয় সমাধানে। উপরের ২টা সমাধান যদি কাজ না করে তাহলে আপনার উচিত হবে আপনার মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস প্রোভাইডারের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করা। আপনি ২ভাবে এটা করতে পারবেন। সোজাসুজি আপনার কাছাকাছি কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারে চলে যান। যাওয়ার সময় আপনার এন আই ডি সাথে নিয়ে যাবেন এবং টাকা কাটার মেসেজ যে মোবাইলে আছে সেই মোবাইল সাথে নিয়ে যাবেন।

যদি আপনি স্বশরীরে যেতে না পারেন তাহলে বিকাশ, নগদ, উপায়, রকেট সহ সকল ধরনের মুঠোফোন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের নিজেদের হেল্পলাইন নাম্বার আছে। আপনি হেল্প লাইনে ফোন করে আপনার পরিচয় প্রমাণ দিয়ে কাস্টমার সার্ভিস এজেন্টের কাছে সমস্যার বিস্তারিত বলতে পারেন। তারা আপনার সমস্যার সমাধান করে দিবে। বিকাশ এর অনলাইন লাইভ চ্যাট সুবিধা রয়েছে যা ব্যবহারে এ প্রক্রিয়া আরো সোজা হয়ে যায়। বিকাশ কাস্টমার সার্ভিস পেজে যেতে ক্লিক করুন – বিকাশ কাস্টমার সার্ভিস

শেষকথা

এভাবে নানারকম উপায়ে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট থেকে অটোমেটিক টাকা কাটার বিষয়টি সমাধান করা যায়। আপনার মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট হতে অটোমেটিক টাকা কাটলে ঘাবড়ে না গিয়ে উল্লেখিত নির্দেশনা ফলো করুন এবং বিপদের সমাধান করুন।

 

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার ১৫টি উপায়

মোবাইলের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? রিকভার করার ৫টি উপায়

ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?

মোবাইল ফোন স্লো থেকে ফার্স্ট করার ৫টি উপায়

লাইভ খেলা দেখার সফটওয়্যার এবং ওয়েবসাইট

shadheenbangla

টিন সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে অনলাইনে কিভাবে হারানো টিন সার্টিফিকেট বের করা যায় তা দেখানো হল।

ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন সার্টিফিকেট বা টিন সার্টিফিকেট হারিয়ে গেছে কিন্তু কোন নকল কপি নেই? এমতাবস্থায়, অনলাইন থেকে হারানো ই টিন সার্টিফিকেট বের করতে পারেন। আসুন জানি কিভাবে হারানো টিন সার্টিফিকেট বের করা যায়।

টিআইএন সনদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট। টিন সনদ হারিয়ে গেলে আপনি আপনার Tax Circle Office থেকে আবেদন করে পূনরায় সংগ্রহ করতে পারবেন।

টিন সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে অনলাইন থেকেও আপনি সংগ্রহ করতে পারবেন যদি e-tin registration ওয়েবসাইটের Username এবং Password আপনার জানা থাকে। Username ও Password জানা না থাকলেও আপনি বের করতে পারবেন যদি Tin Registration করার সময় আপনার দেয়া মোবাইল নম্বরটি জানা থাকে। বিস্তারিত প্রক্রিয়া নিচে দেখুন।

অনলাইনে হারানো টিন সার্টিফিকেট বের করার উপায়

টিন সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে অনলাইন থেকে হারানো টিন সার্টিফিকেট বের করার একটিই উপায় আছে। তা হল, e-Tin Registration ওয়েবসাইট থেকে পুনরায় ডাউনলোড করা। এজন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

ধাপ ১- e Tin Username বের করুন

e-Tin রেজিস্ট্রেশন করার সময় আপনি যে ইউজার নেইম ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেছিলেন তা জানা থাকলে তো ভালই, তা দিয়ে Login করুন এবং পরের ধাপসমূহ অনুসরণ করুন। ইউজার ও পাসওয়ার্ড জানা না থাকলে, প্রথমে আপনাকে এগুলো বের করে নিতে হবে।

ই-টিন Username বের করার জন্য e Tin Registration ওয়েবসাইটের ভিজিট করুন এবং Forgot Password মেন্যুতে যান।

হারানো টিন সার্টিফিকেট বের করার উপায়

এরপর Forgot My User Name অপশনটি সিলেক্ট করে Next বাটনে ক্লিক করুন। নিচের মত একটি পেইজ আসবে।

হারানো টিন সার্টিফিকেট বের করার নিয়ম

এখানে টিন রেজিস্ট্রেশনের জন্য আপনি যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেছিলেন সেটি দিন। ছবিতে দেখানো ক্যাপচা কোড বা Verification Letters (অক্ষর/সংখ্যা) লিখুন এবং Next ক্লিক করুন।

কোন মোবাইল নম্বর আপনি TIN এর জন্য ব্যবহার করেছেন মনে না থাকলে, সম্ভাব্য আপনার মোবাইল নম্বরগুলো দিয়ে চেষ্ঠা করতে পারেন।

যদি কোন মোবাইল নম্বর TIN Application এ ব্যবহার না হয়ে থাকে, UserID is Inactive এমন মেসেজ দেখতে পাবেন।

আপনার মোবাইল নম্বর টিআইএন রেজিস্ট্রেশনে ব্যবহার হয়ে থাকলে, আপনি নিচের মত একটি পেইজ দেখতে পাবেন। এখানে একটি সিকিউরিটি প্রশ্ন দেওয়া হবে।

হারানো টিন সার্টিফিকেট বের করার নিয়ম

Security Question in TIN Registration

টিন রেজিস্ট্রেশনের সময় একটি সিকিউরিটি প্রশ্নের উত্তর সেট করতে হয়। ভবিষ্যতে কখনো UserID বা Password ভুলে গেলে, এই সিকিউরিটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ইউজার ও পাসওয়ার্ড বের করতে হয়।

অন্য কোন ব্যক্তির মাধ্যমে আপনার টিন রেজিস্ট্রেশন করে থাকলেও সিকিউরিটি প্রশ্নের উত্তরটি অবশ্যই আপনার জানা থাকার কথা। উত্তরটি যেহেতু পূর্বের সেট করা উত্তরের সাথে মিল হতে হবে, তাই উত্তর ভুল দেখালে বানান পরিবর্তন করে চেষ্টা করতে পারেন।

সিকিউরিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলে, মোবাইল নম্বরটি ভেরিফিকেশন করার জন্য আপনার মোবাইলে 4 ডিজিটের একটি Verification Code পাঠানো হবে।

হারানো টিন সার্টিফিকেট বের করার নিয়ম

এই ধাপে, মোবাইলে পাওয়া 4 ডিজিটের কোডটি লিখুন এবং আপনার মোবাইল নম্বরটি আবার লিখে Submit করুন। Submit করার সাথেই আপনার টিআইএন একাউন্টের ইউজার আইডি দেখতে পাবেন।

হারানো টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার নিয়ম

ধাপ ২- ই টিন একাউন্টের Password পুনরায় সেট করুন

এ ধাপে ই টিন একাউন্টের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

ই টিন একাউন্টের Password বের করার জন্য আবার Forgot Password মেন্যুতে যান এবং Forgot My Password অপশনটি সিলেক্ট করুন Next বাটনে ক্লিক করুন।

আগের ধাপে বের করা User ID টি ও Verification Letters লিখে Next করুন।

টিন রেজিস্ট্রেশন পাসওয়ার্ড পরিবর্তন

আপনার মোবাইলে 4 ডিজিটের একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে। ভেরিফিকেশন কোডটি লিখে Recover My Account এক ক্লিক করুন।

টিন রেজিস্ট্রেশন পাসওয়ার্ড পরিবর্তন

Password পরিবর্তন করার জন্য উপরের মত একটি পেইজ আসবে। এখানে কমপক্ষে 4 Letters/ Numbers দিয়ে একটি নতুন পাসওয়ার্ড করুন।

ধাপ ৩- টিআইএন সার্টিফিকেট ডাউনলোড

এবার আমরা TIN Account এর ইউজার নেম এবং নতুন সেট করা পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করে TIN Certificate টি ডাউনলোড করে নিব।

হারানো টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার জন্য, Login মেন্যুতে যান এবং User Name ও নতুন সেট করা পাসওয়ার্ড দিয়ে Login করুন।

হারানো টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড

View TIN Certificate মেন্যুতে ক্লিক করুন। এখানে আপনার টিআইএন সাটিফিকেট দেখতে পাবেন। টিন সার্টিফিকেটের PDF ফাইলটি ডাউনলোড করার জন্য, নিচের দিকে Save Certificate বাটনে ক্লিক করুন। আশা করি আপনার হারানো টিন সার্টিফিকেট কিভাবে বের করবো টিন সার্টিফিকেট বের করতে পেরেছেন।

শেষকথা

অনেক ক্ষেত্রে কেউ কেউ অন্য কারো মাধ্যমে টিন রেজিস্ট্রেশন করে থাকেন। এর কারণে তারা হয়তো তাদের মোবাইল নম্বর দিয়ে টিআইএন রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। এক্ষেত্রে আপনি সেই ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে তার সহযোগিতা নিতে পারেন।

তাছাড়া আপনি NBR এর হেল্পলাইনে ফোন করে আপনার সমস্যার কথা জানিয়ে, ই টিন ওয়েবসাইটের Username জেনে নিতে পারেন। NBR Helpline: 09611-777111 or 333.

এটাও সম্ভব না হলে, আপনার টিন নম্বর জানা থাকলে তা এবং আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ১ কপি ফটোকপি নিয়ে কর অফিসে যোগাযোগ করুন। টিন নাম্বার হারিয়ে গেলে শুধু এনআইডির ফটোকপি নিতে যোগাযোগ করতে পারেন।

 

টিন সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম ২০২২

টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম

অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট যাচাই করার নিয়ম

অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট করার নিয়ম ছবি সহ বিস্তারিত | টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড

 Free vector gradient pakistan independence day background

shadheenbangla

মোবাইলের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? জেনে নিন পাসওয়ার্ড রিকভার করার ৫টি উপায়।

মোবাইলের পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। স্মার্টফোনে স্ক্রীন লক আপনার ডিভাইসের বিষয়বস্তু গোপন রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। আমরা বর্তমানে এমন একটি যুগে যখন আপনার ফোনে ব্যক্তিগত, পেশাদার এবং আর্থিক তথ্য থাকে।  আপনার মোবাইল লক করা একটি প্রয়োজনীয়তা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷

এটি বলার অপেক্ষা রাখে না যে আপনি যদি আপনার মোবাইলের পাসওয়ার্ড ভুলে যান তবে আপনি আপনার ডিভাইসটি লক আউট করতে পারবেন না। আধুনিক ডিভাইসগুলিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানারগুলির জন্য ধন্যবাদ, ভুলে যাওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই এতে।

আপনি পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে আপনার Android ফোনে অ্যাক্সেস পুনরুদ্ধার করতে পারেন এমন কিছু উপায় এখানে রয়েছে৷

আপনি কি নিশ্চিত মোবাইলের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনি যদি এইমাত্র Google-এ “How do I unlock my Android phone if I forgot my PIN” টাইপ করে থাকেন এবং এই পোস্টে আসেন তাহলে আপনি আরও এগিয়ে যাওয়ার আগে আসলেই আপনার মোবাইলের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য একটু সময় নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

Android আপনাকে আপনার পিনের জন্য যেকোনো সংখ্যার পাসওয়ার্ড দেওয়ার সুযোগ দেয়। ধরুন আপনি চার বা ছয়-সংখ্যার কোড রিমুভ করার চেষ্টা করছেন, আপনার পাসকোড আসলেই কত ডিজিটের সেটা মনে করার চেষ্টা করুন। হতে পারে এটি ভিন্ন দৈর্ঘের পাসওয়ার্ড।

চেষ্টা করার আরেকটি কৌশল হল আপনার মাসল মেমরিকে কাজে লাগানো। চিন্তা করে দেখুন আপনি যখন ল্যাপটপে টাইপ করেন তখন কি কী-বোর্ডে দেখে দেখে টাইপ করেন? কিংবা যখন সাইকেল চালান তখন কি দেখে দেখে প্যাডেল মারেন?

এগুলো আপনার মাসল মেমোরি নিজেই করে থাকে। এগুলোর জন্য আপনার ব্রেইন সক্রিয় ভূমিকা পালন করে না। সুতরাং আপনার ফোনটি হাতে নেন এবং আনমনে পাসওয়ার্ড টাইপ করে দেখুন আপনার আংগুল কোন কোন কী-তে যাচ্ছে।

এবার সেসব কী- নিয়ে চিন্তা করুন। এসব কী- দিয়ে আপনি কোন পাসওয়ার্ড দিতেন।

কিন্তু আপনি যদি নিশ্চিতভাবে আপনার মোবাইলের পাসওয়ার্ড ভুলে গিয়ে থাকেন, তাহলে এখানে আপনার ফোন আনলক করার কিছু উপায় রয়েছে।

১। স্মার্ট লক দিয়ে আনলক করুন

স্মার্ট লক হল Android ফোনের একটা অপশন, যা আপনাকে নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে লক স্ক্রীন বাইপাস করার সুযোগ দেয়।

Samsung ডিভাইসে Settings > Security > Smart lock on most phones, or Settings > Lock Screen > Smart Lock Type অপশনে এটা পাবেন। তবে হ্যাঁ এটা মোবাইলের পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়ার আগেই আপনাকে সেটাপ করে নিতে হবে। তাহলেই আপনি মোবাইলের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে এই সুবিধা পাবেন।

স্মার্ট লক দিয়ে আনলক

স্মার্ট লক দিয়ে আনলক অপশন

সেটিংস পরিবর্তন করতে আপনাকে আপনার বর্তমান লক পাসওয়ার্ড ইনপুট করতে হবে। তারপর আপনি পাসওয়ার্ড ছাড়া আপনার স্মার্টফোন আনলক করার জন্য পাঁচটি সম্ভাব্য অপশন বেছে নিতে পারেন।

On-body detection

ফোনটি বুঝতে পারে যে আপনি এটি বহন করছেন এবং এটি আপনার হাতে বা আপনার পকেটে থাকাকালীন স্বয়ংক্রিয়ভাবে আনলক থাকে৷

Trusted places

যখন আপনি আপনার নির্বাচিত ঠিকানার কাছাকাছি থাকেন তখন আপনার ফোন আনলক করতে আপনার অবস্থান ব্যবহার করে৷ ধরুন সেটিংসে আপনি নিজের বাসার লোকেশন দিলেন। তাহলে এটা আপনার বাসায় আসার সাথে সাথে আনলক হয়ে যাবে।

Trusted devices

আপনার ফিটনেস ট্র্যাকার বা গাড়ির মতো বিশ্বস্ত ব্লটুথ ডিভাইস যদি Trusted devices হিসেবে দেন তাহলে আপনার গাড়ির বা ফিটনেস ডিভাইসের ব্লটুথ অন করার পর এটার সাথে অটো কানেক্ট হয়ে আপনার মোবাইলকে আনলক করে দিবে।

Trusted face

আপনার ফোন আনলক করতে ফেসিয়াল আনলক ব্যবহার করতে পারেন।

Voice match

যখন এটি আপনার ভয়েস পাবে, তখন আনলক হয়ে যাবে। দুর্ভাগ্যবশত, এই অপশনটি Android 8 Oreo এবং তারপরের ভার্সনগুলোতে কাজ করে না। যদিও এটি এখনও আগের ডিভাইসগুলিতে কাজ করে।

আপনি যদি আপনার মোবাইলের পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়ার আগে এই বিকল্পগুলির মধ্যে এক বা একাধিক সেট আপ করে থাকেন তবে আপনি আপনার ফোনে ফিরে যেতে এটি ব্যবহার করতে পারেন৷

যাইহোক, আপনি আপনার বর্তমান পাসওয়ার্ড না দিয়ে স্মার্ট লক বা পাসওয়ার্ড সেটিংস পরিবর্তন করতে পারবেন না। সুতরাং, আপনাকে এখনও আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করতে হতে পারে, তবে অন্তত আপনি প্রথমে সবকিছু ব্যাক আপ করতে পারেন।

২।শুধুমাত্র স্যামসাং মোবাইলের জন্য

ব্যাকআপ পিন ব্যবহার করা

আপনার মোবাইলটা কি স্যামসাং ? সৌভাগ্যক্রমে, কোম্পানিটি আপনার মোবাইলের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে রিসেট করার কয়েকটি অপশন দিয়ে থাকে।

ব্যাকআপ পিন ব্যবহার করা (শুধুমাত্র পুরানো Android সংস্করণ)

যদি আপনার কাছে Android 4.4 KitKat বা তার আগের কোনো পুরানো Samsung ফোন থাকে, তাহলে আপনি একটি ব্যাকআপ পিন সেট করে থাকতে পারেন। আপনার পাসওয়ার্ড বা প্যাটার্ন ভুলভাবে প্রবেশ করার পরে, এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন।

১। আপনার যদি পিন মনে থাকে তবে Backup PIN অপশনে আলতো চাপুন৷

২। আপনার পিন কোড টাইপ করুন, তারপরে  Done আলতো চাপুন।

৩। লক স্ক্রীন প্যাটার্ন রিসেট করতে আপনাকে Screen Unlock সেটিংসে নিয়ে যাওয়া হবে।

Find My Mobile (All Android Versions)

আপনি যদি আপনার মোবাইলের পাসওয়ার্ড ভুলে (যেমন, পিন, পাসওয়ার্ড বা প্যাটার্ন) ভুলে গিয়ে থাকেন তবে আপনাকে উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই৷

স্যামসাং এমন একটি অপশন রেখেছে যা আপনাকে ডিভাইসটি হারিয়ে গেলে রিমোট কন্ট্রোল করার সুযোগ দেয়। আপনাকে আপনার ফোনে আপনার Samsung অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করতে হবে এবং একটি মোবাইলে Wi-Fi বা মোবাইল ডেটা সংযোগ চালু থাকতে হবে৷

Find My Mobile এর মাধ্যমে আপনার ফোনের পাসকোড রিসেট করতে, এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন :

১। আপনার কম্পিউটারে, findmymobile.samsung.com-এ নেভিগেট করুন।

২। এখন, আপনার Samsung অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করুন।

৩। একবার হয়ে গেলে, আনলক মাই ডিভাইস অপশনে যান এবং নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।

৩। Forgot PIN প্রম্পটটি ব্যবহার করুন

যদি আপনার কাছে Android 4.4 KitKat বা তার আগের একটি পুরানো ফোন থাকে, তাহলে আপনি লক স্ক্রিনের মাধ্যমে আপনার পাসকোড রিসেট করতে পারেন৷ এটি আপনার Google অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে এবং নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলির প্রয়োজন :

১। লক স্ক্রিনে ভুল প্যাটার্ন ইনপুট করুন যতক্ষণ না আপনি “You have made several unsuccessful attempts. Try again in 30 seconds” মেসেজটি দেখতে পান।

২। Forgot mobile password Pattern” অপশনে আলতো চাপুন এবং আপনি আপনার Google অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রবেশ করার জন্য একটি প্রম্পট দেখতে পাবেন।

৩। আপনার ইমেল ঠিকানা এবং পাসওয়ার্ড লিখুন।

৪। আপনার কাছে এখন আপনার লক স্ক্রীন প্যাটার্ন রিসেট করার অপশন আছে। শুধু সাইন-ইন ট্যাবে আলতো চাপুন, তারপর স্ক্রিন আনলক সেটিংসে যান এবং মোবাইলের পাসওয়ার্ড ভুলে যাবেন না এমন একটি নতুন লক স্ক্রিন প্যাটার্ন সেট করুন৷

দুর্ভাগ্যবশত, গুগল অ্যান্ড্রয়েডের আধুনিক সংস্করণে এই অপশনটি নেই।

4. কিছু সমাধান হ্যাক চেষ্টা করুন

আপনি যদি স্মার্ট লক সেট আপ না করে থাকেন, আপনার কাছে পুরানো ফোন না থাকে অথবা Samsung ডিভাইস ব্যবহার না করেন তাহলে উপরের পদ্ধতিগুলি আপনার কাজে আসবে না৷ এই ক্ষেত্রে, আপনাকে একটি সমাধান হ্যাক ব্যবহার করতে হবে।

ADB ব্যবহার করে পিন ফাইলটি ডিলিট করুন

অ্যান্ড্রয়েডে, সিস্টেমটি ব্যবহারকারীর আঙ্গুলের ছাপ, প্যাটার্ন বা অন্যান্য পাসওয়ার্ড রাখার জন্য একটি KEY ফাইল তৈরি করে৷ আপনি যখন সঠিক পাসওয়ার্ড ইনপুট করেন, সিস্টেম অবিলম্বে আনলক করে এবং মোবাইলের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে ভুল পাসওয়ার্ড প্রবেশ করানো হলে ফোনে আপনাকে ঢুকতে দেয় না।

অ্যান্ড্রয়েড ডিবাগ ব্রিজ (ADB) ইউটিলিটি ব্যবহার করে, আপনি আপনার কম্পিউটারের মাধ্যমে আপনার ফোনের ফাইলগুলি অ্যাক্সেস করতে পারেন৷ ফোনের লক স্ক্রিন সিকিউরিটি নিয়ন্ত্রণ করে এমন ফাইল মুছে ফেলার জন্য আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন।

যাইহোক, এই পদ্ধতি শুধুমাত্র কাজ করবে যদি আপনার ফোনে USB ডিবাগিং এনেবল করা থাকে। আপনি যদি ডেভেলপার অপশন প্যানেল থেকে USB ডিবাগিং এনেবল না করে থাকেন, তাহলে আপনি এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারবেন না।

আপনার ফোন যদি এনক্রিপ্ট করা না থাকে এবং অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন 6.0 মার্শম্যালো এর কম হয় তাহলে এই পদ্ধতি আপনার কাজে আসবে। এটি নতুন ডিভাইসের জন্য কাজ করবে না।

এই পদ্ধতিটি কাজ করবে এমন কোন গ্যারান্টি নাই। আপনি যদি সতর্ক না হন তবে এটি আপনার ফোনের ক্ষতি করতে পারে। আপনি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে সমস্ত কিছুর ব্যাক আপ নিন।

আপনি নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে আপনার ফোন আনলক করতে পারেন :

১। একটি USB তারের মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারে আপনার ফোন সংযোগ করুন।

২। আপনার ADB ইনস্টলেশন ডিরেক্টরিতে একটি কমান্ড প্রম্পট বা টার্মিনাল উইন্ডো খুলুন।

৩। টাইপ করুন adb shell rm /data/system/gesture.key এবং এন্টার টিপুন।

ADB ব্যবহার করে পিন ফাইলটি ডিলিট করুন

৪। আপনার ফোন রিবুট করুন। রিবুট করলে সুরক্ষিত লক স্ক্রিনটি চলে যাবে।

৫। এটি একটি অস্থায়ী সমাধান, তাই আবার রিবুট করার আগে আপনার পিন বা প্যাটার্ন লক রিসেট করুন।

লক স্ক্রিন “Crash” করুন

এই পদ্ধতিটি Android 5.0 থেকে 5.1.1 চলমান এনক্রিপ্ট করা ডিভাইসগুলির জন্য কাজ করে৷

লক স্ক্রীন ক্র্যাশ করতে এবং আপনার ফোনে অ্যাক্সেস পেতে :

১। আপনার লক স্ক্রিনে ইমার্জেন্সি কল অপশনে ট্যাপ করুন।

২। ডায়ালার ব্যবহার করে ১০টি তারকাচিহ্ন (*) ইনপুট করুন।

৩। ডাবল ক্লিক করে ১০টি স্টার চিহ্ন সিলেক্ট করে কপি করেন। এবার শেষ স্টারের পরে ক্লিক করে এগুলো পেস্ট করুন। এভাবে ৪/৫ বার করুন। এবার সবগুলো সিলেক্ট করে কপি করুন।

৪। ক্যামেরা শর্টকাট খুলুন এবং “notification shade” উপর থেকে টেনে নিচে নামান।

৫। সেটিংস আইকনে আলতো চাপুন, যেখানে আপনাকে পাসওয়ার্ড লিখতে বলা হবে। ইনপুট ফিল্ডে  দীর্ঘক্ষণ প্রেস করে ধরে থাকলে পেস্ট অপশন পাবেন, পেস্ট করুন। তারপরে সবগুলো সিলেক্ট করে শেষ স্টারের পরে আবারো পেস্ট করুন। এভাবে কয়েকবার করলে স্ক্রিন ক্র্যাশ হয়ে যাবে এবং আপনাকে আপনার ডিভাইস অ্যাক্সেস করার অনুমতি দেবে।

৬। Factory Reset করুন

আপনি যদি উপরের কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করতে না পারেন, তাহলে আপনাকে ম্যানুয়ালি ফ্যাক্টরি রিসেট করতে হবে।

১। আপনার ডিভাইস বন্ধ করুন।

২। স্ক্রীন সম্পূর্ণ কালো হয়ে যাওয়ার পর, Android এর বুটলোডার মেনু আনতে একই সাথে ভলিউম ডাউন এবং পাওয়ার বোতাম টিপুন এবং ধরে রাখুন। এই বোতামের সমন্বয় আপনার ফোনের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে।

৩। রিকভারি মোড অপশনটি হাইলাইট করতে ভলিউম ডাউন বোতামটি দুবার টিপুন, তারপর এটি নির্বাচন করতে পাওয়ার বোতাম টিপুন।

৪। পাওয়ার বোতামটি ধরে রাখুন এবং রিকভারি মোডে প্রবেশ করতে একবার ভলিউম আপ বোতাম টিপুন।

৫। ডাটা মুছা/ফ্যাক্টরি রিসেট অপশনে যেতে ভলিউম বোতাম ব্যবহার করুন। ফ্যাক্টরি রিসেট পদক্ষেপগুলি নিয়ে এগিয়ে যান৷

৬। একবার ডিভাইস রিবুট হয়ে গেলে, সেটআপ স্ক্রিন দেখতে পাবেন। আপনাকে আপনার Google অ্যাকাউন্টে আবার লগ ইন করতে বলা হবে, যা যে কোনো ব্যাক-আপ ডেটা পুনরুদ্ধার করবে।

আপনি আপনার ফোন সেট আপ করার সাথে সাথেই মোবাইলের পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়ার আগেই স্মার্ট লক অপশনটি এনেবল করুন৷ এইভাবে, আপনি অনায়াসে আপনার বাড়ির ওয়াই-ফাইতে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন আনলক করতে পারেন এবং প্রতিবার আপনার ফোনটিকে ম্যানুয়ালি আনলক করা এড়াতে পারেন।

মোবাইলের পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়া রোধ করতে এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন যা সহজে মনে রাখা সম্ভব। মোবাইলের পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না যদি আপনি ফেস লক কিংবা ফিংগার লক ইউজ করেন।

অনলাইনে ডিজিটাল পাসপোর্ট বা ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ ২০২২ বিস্তারিত ছবি সহ

নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র বা নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার অনলাইন পদ্ধতি

নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন প্রক্রিয়া ছবি সহ বিস্তারিত

 

shadheenbangla

যদি আপনার স্থায়ীভাবে করযোগ্য আয় না থাকলে তাহলে আপনি চাইলে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে পারেন। কিভাবে টিন সার্টিফিকেট (TIN Certificate) বাতিল করা যায় সেটা জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।

অনেকের করযোগ্য আয় না থাকলেও বিশেষ কোন প্রয়োজনে টিন রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। আপনিও হয়তো সেরকম কোনো কারণে টিন সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন করেছেন। কিন্তু এখন টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে চান। তাহলে জেনে নিন টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম।

এনবিআর থেকে সরাসরি টিআইএন বাতিল করার কোন নিয়ম রাখা হয়নি তাই আপনি চাইলেই সহজেই টিন সার্টিফিকেট (TIN Certificate) বাতিল করতে পারবেন না

Income Tax Ordinance 1984 মতে যদি কোন আয়বছরে বা তার পূর্বের বছরসহ পরপর ৩ বছরের মধ্যে ব্যক্তির করযোগ্য আয় থাকে, তবে তাকে কর রিটার্ন জমা দিতে হবে।

টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম

অর্থাৎ পরপর ৩ বছরের মধ্যে আপনার কোন করযোগ্য আয় (পুরুষ ৩ লক্ষ এবং মহিলা ৩.৫ লক্ষ টাকা) না থাকলে আপনাকে আয়কর রিটার্ণ দাখিল করতে হবে না।

কিন্তু আপনার বার্ষিক করযোগ্য আয় নেই এটার প্রুফ হিসেবে উক্ত ৩ বছরের রিটার্ণ জমা দিতে হবে।

এক্ষেত্রে যেহেতু আপনার আয় নেই আপনি শুন্য রিটার্ন জমা দিবেন। তারপর থেকে অর্থাৎ ৪র্থ বছর আপনাকে আর আয়কর রিটার্ণ জমা দিতে হবে না।

৪র্থ বছরের পর আপনার ট্যাক্স সার্কেল উপ-কর কমিশনারের এর অফিসে গিয়ে Tin Certificate Cancel Certificate বাতিলের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

টিন সার্টিফিকেট (TIN Certificate) বাতিলের কিছু শর্ত আছে। যদি সেসব শর্ত পূরণ হয় তাহলে আপনি টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার আবেদন পারবেন।

টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার শর্তাবলী

যদিও সাধারণত টিন সার্টিফিকেট (TIN Certificate) বাতিল হয় না। ক্ষেত্রবিশেষে এটি শর্ত সাপেক্ষে বাতিল করা হয়ে থাকে।

  • করদাতা মারা গেলে এবং টিন চালু রাখার মত কোন কার্যক্রম না থাকলে তার ওয়ারিশ টিন সার্টিফিকেট বন্ধ করার আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে টিন রেজিস্ট্রেশন স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে।
  • নন রেসিডেন্ট বিদেশী নাগরিক যার বাংলাদেশে কোন স্থায়ী ভিত্তি নেই।
  • বিশেষ কোন কারণে TIN Certificate গ্রহণ করলেও বর্তমানে ও ভবিষ্যতে করদাতার আয় শুন্য হলে বা করযোগ্য কোন আয় না থাকলে।

টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম

টিন সার্টিফিকেট বাতিল করতে হলে প্রথমে পর পর ৩ বছর শুন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। এরপর আপনার Taxes Circle এর উপ-কর কমিশনার বরাবর টিন সার্টিফিকেট বাতিলের উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদনের সাথে অবশ্য আপনার পূর্বের দাখিল করা রিটার্নের রিসিট, জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি জমা দিন। উপ-কর কমিশনার আপনার আবেদন যথোপযুক্ত মনে করলে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করবেন।

টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য ২টি কারণ থাকতে পারে, ১) করদাতা মারা গেলে, ২) করযোগ্য আয় না থাকলে।

এক্ষেত্রে কিভাবে টিন সার্টিফিকেট বন্ধ করার নিয়ম নিচে ব্যাখ্যা করা হলো।

করদাতা মারা গেলে

টিন সার্টিফিকেট ধারী করদাতা মারা গেলে এবং ভবিষ্যতে উক্ত টিন সার্টিফিকেট কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ব্যবহার করার প্রয়োজন না হলে টিন রেজিস্ট্রেশন বাতিল এর জন্য আবেদন করা যাবে।

উপকর কমিশনার তদন্ত এবং শুনানি করে মাধ্যমে অথবা আবেদনের উপর ভিত্তি করে আপনার টিআইএন এর কার্যক্রম স্থগিত বা বাতিল করতে পারেন।

করদাতা মারা গেলে, টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য যা যা প্রয়োজন হবে,

  • ওয়ারিশ কর্তৃক লিখিত আবেদন
  • টিন সার্টিফিকেটের কপি
  • পূববর্তী আয়কর রিটার্নের রিসিট/প্রত্যয়ন কপি
  • করদাতার মৃত্যু সনদের কপি
  • করদাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি

করযোগ্য আয় না থাকলে

করযোগ্য আয় না থাকলে ধারাবাহিকভাবে ৩ বছর শুন্য রিটার্ন দাখিল করতে হবে। তারপর উপ-কর কমিশনার বরাবর লিখিত আবেদন করতে হবে।

করযোগ্য আয় না থাকলে, টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য প্রয়োজন হবে,

  • লিখিত আবেদন
  • টিন সার্টিফিকেটের কপি
  • পূববর্তী আয়কর রিটার্নের রিসিট/প্রত্যয়ন কপি
  • করদাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি

শেষকথা

করযোগ্য আয় না থাকলে টিন বন্ধ বা বাতিল করার করতে পারেন। তবে এটা রেখে দিলেও সমস্যা নাই। কারণ পরপর ৩ বছর করযোগ্য আয় না থাকলে আপনাকে পরবর্তী বছর থেকে রিটার্ণ জমা দিতে হবে না।

তবুও আপনি চাইলে টিন সার্টিফিকেট বন্ধ করার আবেদন করতে পারেন। আপনার আবেদন সন্তোষজনক মনে হলে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করে দেয়া হবে।

সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর

আমার কোন আয় নেই, কিভাবে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করব?

আপনার কোন আয় না থাকলে ধারাবাহিকভাবে ৩ বছর আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। এরপর পূনরায় করযোগ্য আয় না হওয়া পর্যন্ত রিটার্ন জমা দিতে হবে না। তবে আপনি চাইলে টিন সার্টিফিকেট বন্ধ করার আবেদন করতে পারেন। আপনার আবেদন সন্তোষজনক মনে হলে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করে দেয়া হবে।

Real Step Ltd.

অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম কি?

অনলাইনে টিন সার্টিফিকেট (TIN Certificate) বাতিল করার কোন সুযোগ এখনো পর্যন্ত নেই। আপনাকে স্ব-শরীরে কর অফিসে গিয়ে লিখিত আবেদন করে টিন বাতিল করতে হবে।

shadheenbangla

বি এস, সি এস, আর এস, এস এ খতিয়ান কাকে বলে?

খতিয়ান কাকে বলে? 

মৌজা ভিত্তিক এক বা একাধিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্ত্তত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম ও প্রজার নাম, জমির দাগ নং, পরিমাণ, প্রকৃতি, খাজনার হার ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে।

আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তন্মধ্যে সিএস, এসএ এবং আরএস উল্লেখযোগ্য। ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে “থতিয়ান” বলে। খতিয়ান প্রস্তত করা হয় মৌজা ভিত্তিক।

বি এস, সি এস, আর এস, এস এ খতিয়ান
বি এস, সি এস, আর এস, এস এ খতিয়ান

সি এস খতিয়ান কাকে বলে?

১৯১০-২০ সনের মধ্যে সরকারি আমিনগণ প্রতিটি ভূমিখণ্ড পরিমাপ করে উহার আয়তন, অবস্থান ও ব্যবহারের প্রকৃতি নির্দেশক মৌজা নকশা এবং প্রতিটি ভূমিখন্ডের মালিক দখলকারের বিররণ সংবলিত যে খতিয়ান তৈরি করেন সিএস খতিয়ান নামে পরিচিত।

এস এ খতিয়ান কাকে বলে?

১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাসের পর সরকার জমিদারি অধিগ্রহণ করেন। তৎপর সরকারি জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে মাঠে না গিয়ে সিএস খতিয়ান সংশোধন করে যে খতিয়ান প্রস্তুত করেন তা এসএ খতিয়ান নামে পরিচিত।

কোনো অঞ্চলে এ খতিয়ান আর এস খতিয়ান নামেও পরিচিত। বাংলা ১৩৬২ সালে এই খতিয়ান প্রস্তুত হয় বলে বেশির ভাগ মানুষের কাছে এসএ খতিয়ান ৬২ এর খতিয়ান নামেও পরিচিত।

আর এস খতিয়ান কাকে বলে?

একবার জরিপ হওয়ার পর তাতে উল্লেখিত ভুলত্রুটি সংশোধনের জন্য পরবর্তীতে যে জরিপ করা হয় তা আরএস খতিয়ান নামে পরিচিত। দেখা যায় যে, এস এ খতিয়ানএ জরিপের আলোকে প্রস্তুতকৃত খতিয়ান প্রস্তুতের সময় জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে তদন্ত করেনি। তাতে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়ে গেছে।

ওই ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করার জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরেজমিনে ভূমি মাপ-ঝোঁক করে পুনরায় খতিয়ান প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এই খতিয়ান আরএস খতিয়ান নামে পরিচিত। সারাদেশে এখন পর্যন্ত তা সমাপ্ত না হলেও অনেক জেলাতেই আরএস খতিয়ান চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয়েছে।

সরকারি আমিনরা মাঠে গিয়ে সরেজমিনে জমি মাপামাপি করে এই খতিয়ান প্রস্তুত করেন বলে তাতে ভুলত্রুটি কম লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশের অনেক এলাকায় এই খতিয়ান বি এস খতিয়ান নামেও পরিচিত।

বি এস খতিয়ান কাকে বলে?

সর্ব শেষ এই জরিপ ১৯৯০ সা পরিচালিত হয়। ঢাকা অঞ্চলে মহানগর জরিপ হিসাবেও পরিচিত।

“দলিল” কাকে বলে?

যে কোন লিখিত বিবরণ আইনগত সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য তাকে দলিল বলা হয়। তবে রেজিস্ট্রেশন আইনের বিধান মোতাবেক জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে চুক্তিপত্র সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করেন সাধারন ভাবেতাকে দলিল বলে।

“খানাপুরি” কাকে বলে?

জরিপের সময় মৌজা নক্সা প্রস্তুত করার পর খতিয়ান প্রস্তুতকালে খতিয়ান ফর্মের প্রত্যেকটি কলাম জরিপ কর্মচারী কর্তৃক পূরন করার প্রক্রিয়াকে খানাপুরি বলে।

নামজারি কাকে বলে ?

ক্রয়সূত্রে/উত্তরাধিকার সূত্রে অথবা যেকোন সূত্রে জমির নতুন মালিক হলে নতুন মালিকের নাম সরকারি খতিয়ানভুক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারী বলা হয়।

“তফসিল” কাকে বলে?

জমির পরিচয় বহন করে এমন বিস্তারিত বিবরণকে “তফসিল” বলে। তফসিলে, মৌজার নাম, নাম্বার, খতিয়ার নাম্বার, দাগ নাম্বার, জমির চৌহদ্দি, জমির পরিমাণ সহ ইত্যাদি তথ্য সন্নিবেশ থাকে।

“দাগ” নাম্বার কাকে বলে? / কিত্তা কি ?

দাগ শব্দের অর্থ ভূমিখ-। ভূমির ভাগ বা অংশ বা পরিমাপ করা হয়েছে এবং যে সময়ে পরিমাপ করা হয়েছিল সেই সময়ে ক্রম অনুসারে প্রদত্ত ওই পরিমাপ সম্পর্কিত নম্বর বা চিহ্ন।

যখন জরিপ ম্যাপ প্রস্তুত করা হয় তখন মৌজা নক্সায় ভূমির সীমানা চিহ্নিত বা সনাক্ত করার লক্ষ্যে প্রত্যেকটি ভূমি খন্ডকে আলাদা আলাদ নাম্বার দেয়া হয়। আর এই নাম্বারকে দাগ নাম্বার বলে। একেক দাগ নাম্বারে বিভিন্ন পরিমাণ ভূমি থাকতে পারে।

মূলত, দাগ নাম্বার অনুসারে একটি মৌজার অধীনে ভূমি মালিকের সীমানা খূটিঁ বা আইল দিয়ে সরেজমিন প্রর্দশন করা হয়। দাগকে কোথাও কিত্তা বলা হয়।

“ছুটা দাগ” কাকে বলে?

ভূমি জরিপকালে প্রাথমিক অবস্থায় নকশা প্রস্তুত অথবা সংশোধনের সময় নকশার প্রতিটি ভূমি এককে যে নাম্বার দেওয়া হয় সে সময় যদি কোন নাম্বার ভুলে বাদ পড়ে তাবে ছুটা দাগ বলে। আবার প্রাথমিক পর্যায়ে যদি দুটি দাগ একত্রিত করে নকশা পুন: সংশোধন করা হয় তখন যে দাগ নাম্বার বাদ যায় তাকেও ছুটা দাগ বলে।

পর্চা কীঃ / “পর্চা” কাকে বলে?

ভূমি জরিপকালে চূড়ান্ত খতিয়ান প্রস্তত করার পূর্বে ভূমি মালিকদের নিকট খসড়া খতিয়ানের যে অনুলিপি ভুমি মালিকদের প্রদান করা করা হয় তাকে “মাঠ পর্চা” বলে।

এই মাঠ পর্চা রেভিনিউ/রাজস্ব অফিসার কর্তৃক তসদিব বা সত্যায়ন হওয়ার পর যদি কারো কোন আপত্তি থাকে তাহলে তা শোনানির পর খতিয়ান চুড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হয়। আর চুড়ান্ত খতিয়ানের অনুলিপিকে “পর্চা” বলে।

চিটা কাকে বলে?

একটি ক্ষুদ্র ভূমির পরিমাণ, রকম ইত্যাদির পূর্ণ বিবরণ চিটা নামে পরিচিত। বাটোয়ারা মামলায় প্রাথমিক ডিক্রি দেয়ার পর তাকে ফাইনাল ডিক্রিতে পরিণত করার আগে অ্যাডভোকেট কমিশনার সরেজমিন জমি পরিমাপ করে প্রাথমিক ডিক্রি মতে সম্পত্তি এমনি করে পক্ষদের বুঝায়ে দেন। ওই সময় তিনি যে খসড়া ম্যাপ প্রস্তুত করেন তা চিটা বা চিটাদাগ নামে পরিচিত।

দখলনামা কাকে বলে?

দখল হস্তান্তরের সনদপত্র। সার্টিফিকেট জারীর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি কোনো সম্পত্তি নিলাম খরিদ করে নিলে সরকার পক্ষ সম্পত্তির ক্রেতাকে দখল বুঝিয়ে দেয়ার পর যে সনদপত্র প্রদান করেন তাকে দখলনামা বলে।

সরকারের লোক সরেজমিনে গিয়ে ঢোল পিটিয়ে, লাল নিশান উড়ায়ে বা বাঁশ গেড়ে দখল প্রদান করেন। কোনো ডিক্রিজারির ক্ষেত্রে কোনো সম্পত্তি নিলাম বিক্রয় হলে আদালত ওই সম্পত্তির ক্রেতাকে দখল বুঝিয়ে দিয়ে যে সার্টিফিকেট প্রদান করেন তাকেও দখলনামা বলা হয়।

যিনি সরকার অথবা আদালতের নিকট থেকে কোনো সম্পত্তির দখলনামা প্রাপ্ত হন, ধরে নিতে হবে যে, দখলনামা প্রাপ্ত ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট সম্পত্তিতে দখল আছে।

“খাজনা” ককে বলে?

সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে প্রজার নিকট থেকে ভূমি ব্যবহারের জন্য যে কর আদায় করে তাকে খাজনা বলে।.

বায়নামা কাকে বলে?

১৯০৮ সালের দেওয়ানি কার্যবিধির ২১ আদেশের ৯৪ নিয়ম অনুসারে কোনো স্থাবর সম্পত্তির নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হলে আদালত নিলাম ক্রেতাকে নিলামকৃত সম্পত্তির বিবরণ সংবলিত যে সনদ দেন তা বায়নামা নামে পরিচিত।

বায়নামায় নিলাম ক্রেতার নামসহ অন্যান্য তথ্যাবলি লিপিবদ্ধ থাকে। কোনো নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হলে ক্রেতার অনুকূলে অবশ্যই বায়নামা দিতে হবে। যে তারিখে নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হয় বায়নামায় সে তারিখ উল্লেখ করতে হয়।

জমাবন্দি কাকে বলে?

জমিদারি আমলে জমিদার বা তালুকদারের সেরেস্তায় প্রজার নাম, জমি ও খাজনার বিবরণী লিপিবদ্ধ করার নিয়ম জমাবন্দি নামে পরিচিত। বর্তমানে তহশিল অফিসে অনুরূপ রেকর্ড রাখা হয় এবং তা জমাবন্দি নামে পরিচিত।

দাখিলা কাকে বলে?

সরকার বা সম্পত্তির মালিককে খাজনা দিলে যে নির্দিষ্ট ফর্ম বা রশিদ ( ফর্ম নং১০৭৭) প্রদান করা হয় তা দাখিলা বা খাজনার রশিদ নামে পরিচিত।

দাখিলা কোনো স্বত্বের দলিল নয়, তবে তা দখল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ বহন করে।

DCR কাকে বলে?

ভূমি কর ব্যতিত আন্যান্য সরকারি পাওনা আদায় করার পর যে নির্ধারিত ফর্মে (ফর্ম নং ২২২) রশিদ দেওয়া হয় তাকে DCR বলে।

“কবুলিয়ত” কাকে বলে?

সরকার কর্তৃক কৃষককে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রস্তাব প্রজা কর্তৃক গ্রহণ করে খাজনা প্রদানের যে অঙ্গিকার পত্র দেওয়া হয় তাকে কবুলিয়ত বলে।

“ফারায়েজ” কাকে বলে?

ইসলামি বিধান মোতাবেক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম ও প্রক্রিয়াকে ফারায়েজ বলে।

ওয়ারিশ” কাকে বলে?

ওয়ারিশ অর্থ উত্তরাধিকারী । ধর্মীয় বিধানের অনুয়ায়ী কোন ব্যক্তি উইল না করে মৃত্যু বরন করলেতার স্ত্রী, সন্তান বা নিকট আত্মীয়দের মধ্যে যারা তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে মালিক হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে ওয়ারিশ বলে।

হুকুমনামা কাকে বলে?

আমলনামা বা হুকুমনামা বলতে জমিদারের কাছ থেকে জমি বন্দোবস্ত নেয়ার পর প্রজার স্বত্ব দখল প্রমাণের দলিলকে বুঝায়। সংক্ষেপে বলতে গেলে জমিদার কর্তৃক প্রজার বরাবরে দেয়া জমির বন্দোবস্ত সংক্রান্ত নির্দেশপত্রই আমলনামা।

জমা খারিজ কাকে বলে?

জমা খারিজ অর্থ যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করা। প্রজার কোন জোতের কোন জমি হস্তান্তর বা বন্টনের কারনে মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমি নিয়ে নুতন জোত বা খতিয়ান খোলাকে জমা খারিজ বলা হয়। অন্য কথায় মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমির অংশ নিয়ে নতুন জোত বা খতিয়ান সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে।

“মৌজা” কাকে বলে?

CS জরিপ / ক্যাডষ্টাল জরিপ করা হয় তখন থানা ভিত্তিক এক বা একাধিক গ্রাম, ইউনিয়ন, পাড়া, মহল্লা অালাদা করে বিভিন্ন এককে ভাগ করে ক্রমিক নাম্বার দিয়ে চিহ্তি করা হয়েছে। আর বিভক্তকৃত এই প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে।। এক বা একাদিক গ্রাম বা পাড়া নিয়ে একটি মৌজা ঘঠিত হয়।

“আমিন” কাকে বলে?

ভূমি জরিপের মাধ্যমে নক্সা ও খতিয়ান প্রস্তত ও ভূমি জরিপ কাজে নিজুক্ত কর্মচারীকে আমিন বলে।

“কিস্তোয়ার” কাকে বলে?

ভূমি জরিপ কালে চতুর্ভুজ ও মোরব্বা প্রস্তত করার পর সিকমি লাইনে চেইন চালিয়ে সঠিকভাবে খন্ড খন্ড ভুমির বাস্তব ভৌগলিক চিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে নকশা প্রস্তুতের পদ্ধতিকে কিস্তোয়ার বলে।

“সিকস্তি” কাকে বলে?

নদী ভাংঙ্গনের ফলে যে জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায় তাকে সিকন্তি বলে। সিকন্তি জমি যদি ৩০ বছরের মধ্যে স্বস্থানে পয়ন্তি হয় তাহলে সিকন্তি হওয়ার প্রাক্কালে যিনি ভূমি মালিক ছিলেন তিনি বা তাহার উত্তরাধিকারগন উক্ত জমির মালিকানা শর্ত সাপেক্ষ্যে প্রাপ্য হবেন।

“পয়ন্তি” কাকে বলে?

নদী গর্ভ থেকে পলি মাটির চর পড়ে জমির সৃষ্টি হওয়াকে পয়ন্তি বলে।

shadheenbangla

বি এস, সি এস, আর এস, এস এ খতিয়ান কাকে বলে?

খতিয়ান কাকে বলে? 

মৌজা ভিত্তিক এক বা একাধিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্ত্তত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম ও প্রজার নাম, জমির দাগ নং, পরিমাণ, Khatiyan প্রকৃতি, খাজনার হার ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে।

আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তন্মধ্যে সিএস, এসএ এবং আরএস উল্লেখযোগ্য। ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে “থতিয়ান” বলে। খতিয়ান প্রস্তত করা হয় মৌজা ভিত্তিক।

বি এস, সি এস, আর এস, এস এ খতিয়ান
বি এস, সি এস, আর এস, এস এ খতিয়ান

সি এস খতিয়ান কাকে বলে?

১৯১০-২০ সনের মধ্যে সরকারি আমিনগণ প্রতিটি ভূমিখণ্ড পরিমাপ করে উহার আয়তন, অবস্থান ও ব্যবহারের প্রকৃতি নির্দেশক মৌজা নকশা এবং প্রতিটি ভূমিখন্ডের মালিক দখলকারের বিররণ সংবলিত যে খতিয়ান তৈরি করেন সিএস খতিয়ান নামে পরিচিত।

এস এ খতিয়ান কাকে বলে?

১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাসের পর সরকার জমিদারি অধিগ্রহণ করেন। তৎপর সরকারি জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে মাঠে না গিয়ে সিএস খতিয়ান সংশোধন করে যে খতিয়ান প্রস্তুত করেন তা এসএ খতিয়ান নামে পরিচিত।

কোনো অঞ্চলে এ খতিয়ান আর এস খতিয়ান নামেও পরিচিত। বাংলা ১৩৬২ সালে এই খতিয়ান প্রস্তুত হয় বলে বেশির ভাগ মানুষের কাছে এসএ খতিয়ান ৬২ এর খতিয়ান নামেও পরিচিত।

আর এস খতিয়ান কাকে বলে?

একবার জরিপ হওয়ার পর তাতে উল্লেখিত ভুলত্রুটি সংশোধনের জন্য পরবর্তীতে যে জরিপ করা হয় তা আরএস খতিয়ান নামে পরিচিত। দেখা যায় যে, এসএ জরিপের আলোকে প্রস্তুতকৃত খতিয়ান প্রস্তুতের সময় জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে তদন্ত করেনি। তাতে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়ে গেছে।

ওই ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করার জন্য সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরেজমিনে ভূমি মাপ-ঝোঁক করে পুনরায় খতিয়ান প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এই খতিয়ান আরএস খতিয়ান নামে পরিচিত। সারাদেশে এখন পর্যন্ত তা সমাপ্ত না হলেও অনেক জেলাতেই আরএস খতিয়ান চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয়েছে।

সরকারি আমিনরা মাঠে গিয়ে সরেজমিনে জমি মাপামাপি করে এই খতিয়ান প্রস্তুত করেন বলে তাতে ভুলত্রুটি কম লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশের অনেক এলাকায় এই খতিয়ান বি এস খতিয়ান নামেও পরিচিত।

বি এস খতিয়ান কাকে বলে?

সর্ব শেষ এই জরিপ ১৯৯০ সা পরিচালিত হয়। ঢাকা অঞ্চলে মহানগর জরিপ হিসাবেও পরিচিত।

“দলিল” কাকে বলে?

যে কোন লিখিত বিবরণ আইনগত সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য তাকে দলিল বলা হয়। তবে রেজিস্ট্রেশন আইনের বিধান মোতাবেক জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে চুক্তিপত্র সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করেন সাধারন ভাবেতাকে দলিল বলে।

“খানাপুরি” কাকে বলে?

জরিপের সময় মৌজা নক্সা প্রস্তুত করার পর খতিয়ান প্রস্তুতকালে খতিয়ান ফর্মের প্রত্যেকটি কলাম জরিপ কর্মচারী কর্তৃক পূরন করার প্রক্রিয়াকে খানাপুরি বলে।

নামজারি কাকে বলে ?

ক্রয়সূত্রে/উত্তরাধিকার সূত্রে অথবা যেকোন সূত্রে জমির নতুন মালিক হলে নতুন মালিকের নাম সরকারি খতিয়ানভুক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারী বলা হয়।

“তফসিল” কাকে বলে?

জমির পরিচয় বহন করে এমন বিস্তারিত বিবরণকে “তফসিল” বলে। তফসিলে, মৌজার নাম, নাম্বার, খতিয়ার নাম্বার, দাগ নাম্বার, জমির চৌহদ্দি, জমির পরিমাণ সহ ইত্যাদি তথ্য সন্নিবেশ থাকে।

“দাগ” নাম্বার কাকে বলে? / কিত্তা কি ?

দাগ শব্দের অর্থ ভূমিখ-। ভূমির ভাগ বা অংশ বা পরিমাপ করা হয়েছে এবং যে সময়ে পরিমাপ করা হয়েছিল সেই সময়ে ক্রম অনুসারে প্রদত্ত ওই পরিমাপ সম্পর্কিত নম্বর বা চিহ্ন।

যখন জরিপ ম্যাপ প্রস্তুত করা হয় তখন মৌজা নক্সায় ভূমির সীমানা চিহ্নিত বা সনাক্ত করার লক্ষ্যে প্রত্যেকটি ভূমি খন্ডকে আলাদা আলাদ নাম্বার দেয়া হয়। আর এই নাম্বারকে দাগ নাম্বার বলে। একেক দাগ নাম্বারে বিভিন্ন পরিমাণ ভূমি থাকতে পারে।

মূলত, দাগ নাম্বার অনুসারে একটি মৌজার অধীনে ভূমি মালিকের সীমানা খূটিঁ বা আইল দিয়ে সরেজমিন প্রর্দশন করা হয়। দাগকে কোথাও কিত্তা বলা হয়।

“ছুটা দাগ” কাকে বলে?

ভূমি জরিপকালে প্রাথমিক অবস্থায় নকশা প্রস্তুত অথবা সংশোধনের সময় নকশার প্রতিটি ভূমি এককে যে নাম্বার দেওয়া হয় সে সময় যদি কোন নাম্বার ভুলে বাদ পড়ে তাবে ছুটা দাগ বলে। আবার প্রাথমিক পর্যায়ে যদি দুটি দাগ একত্রিত করে নকশা পুন: সংশোধন করা হয় তখন যে দাগ নাম্বার বাদ যায় তাকেও ছুটা দাগ বলে।

পর্চা কীঃ / “পর্চা” কাকে বলে?

ভূমি জরিপকালে চূড়ান্ত খতিয়ান প্রস্তত করার পূর্বে ভূমি মালিকদের নিকট খসড়া খতিয়ানের যে অনুলিপি ভুমি মালিকদের প্রদান করা করা হয় তাকে “মাঠ পর্চা” বলে।

এই মাঠ পর্চা রেভিনিউ/রাজস্ব অফিসার কর্তৃক তসদিব বা সত্যায়ন হওয়ার পর যদি কারো কোন আপত্তি থাকে তাহলে তা শোনানির পর খতিয়ান চুড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হয়। আর চুড়ান্ত খতিয়ানের অনুলিপিকে “পর্চা” বলে।

চিটা কাকে বলে?

একটি ক্ষুদ্র ভূমির পরিমাণ, রকম ইত্যাদির পূর্ণ বিবরণ চিটা নামে পরিচিত। বাটোয়ারা মামলায় প্রাথমিক ডিক্রি দেয়ার পর তাকে ফাইনাল ডিক্রিতে পরিণত করার আগে অ্যাডভোকেট কমিশনার সরেজমিন জমি পরিমাপ করে প্রাথমিক ডিক্রি মতে সম্পত্তি এমনি করে পক্ষদের বুঝায়ে দেন। ওই সময় তিনি যে খসড়া ম্যাপ প্রস্তুত করেন তা চিটা বা চিটাদাগ নামে পরিচিত।

দখলনামা কাকে বলে?

দখল হস্তান্তরের সনদপত্র। সার্টিফিকেট জারীর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি কোনো সম্পত্তি নিলাম খরিদ করে নিলে সরকার পক্ষ সম্পত্তির ক্রেতাকে দখল বুঝিয়ে দেয়ার পর যে সনদপত্র প্রদান করেন তাকে দখলনামা বলে।

সরকারের লোক সরেজমিনে গিয়ে ঢোল পিটিয়ে, লাল নিশান উড়ায়ে বা বাঁশ গেড়ে দখল প্রদান করেন। কোনো ডিক্রিজারির ক্ষেত্রে কোনো সম্পত্তি নিলাম বিক্রয় হলে আদালত ওই সম্পত্তির ক্রেতাকে দখল বুঝিয়ে দিয়ে যে সার্টিফিকেট প্রদান করেন তাকেও দখলনামা বলা হয়।

যিনি সরকার অথবা আদালতের নিকট থেকে কোনো সম্পত্তির দখলনামা প্রাপ্ত হন, ধরে নিতে হবে যে, দখলনামা প্রাপ্ত ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট সম্পত্তিতে দখল আছে।

“খাজনা” ককে বলে?

সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে প্রজার নিকট থেকে ভূমি ব্যবহারের জন্য যে কর আদায় করে তাকে খাজনা বলে।.

বায়নামা কাকে বলে?

১৯০৮ সালের দেওয়ানি কার্যবিধির ২১ আদেশের ৯৪ নিয়ম অনুসারে কোনো স্থাবর সম্পত্তির নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হলে আদালত নিলাম ক্রেতাকে নিলামকৃত সম্পত্তির বিবরণ সংবলিত যে সনদ দেন তা বায়নামা নামে পরিচিত।

বায়নামায় নিলাম ক্রেতার নামসহ অন্যান্য তথ্যাবলি লিপিবদ্ধ থাকে। কোনো নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হলে ক্রেতার অনুকূলে অবশ্যই বায়নামা দিতে হবে। যে তারিখে নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হয় বায়নামায় সে তারিখ উল্লেখ করতে হয়।

জমাবন্দি কাকে বলে?

জমিদারি আমলে জমিদার বা তালুকদারের সেরেস্তায় প্রজার নাম, জমি ও খাজনার বিবরণী লিপিবদ্ধ করার নিয়ম জমাবন্দি নামে পরিচিত। বর্তমানে তহশিল অফিসে অনুরূপ রেকর্ড রাখা হয় এবং তা জমাবন্দি নামে পরিচিত।

দাখিলা কাকে বলে?

সরকার বা সম্পত্তির মালিককে খাজনা দিলে যে নির্দিষ্ট ফর্ম বা রশিদ ( ফর্ম নং১০৭৭) প্রদান করা হয় তা দাখিলা বা খাজনার রশিদ নামে পরিচিত।

দাখিলা কোনো স্বত্বের দলিল নয়, তবে তা দখল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ বহন করে।

DCR কাকে বলে?

ভূমি কর ব্যতিত আন্যান্য সরকারি পাওনা আদায় করার পর যে নির্ধারিত ফর্মে (ফর্ম নং ২২২) রশিদ দেওয়া হয় তাকে DCR বলে।

“কবুলিয়ত” কাকে বলে?

সরকার কর্তৃক কৃষককে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রস্তাব প্রজা কর্তৃক গ্রহণ করে খাজনা প্রদানের যে অঙ্গিকার পত্র দেওয়া হয় তাকে কবুলিয়ত বলে।

“ফারায়েজ” কাকে বলে?

ইসলামি বিধান মোতাবেক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম ও প্রক্রিয়াকে ফারায়েজ বলে।

ওয়ারিশ” কাকে বলে?

ওয়ারিশ অর্থ উত্তরাধিকারী । ধর্মীয় বিধানের অনুয়ায়ী কোন ব্যক্তি উইল না করে মৃত্যু বরন করলেতার স্ত্রী, সন্তান বা নিকট আত্মীয়দের মধ্যে যারা তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে মালিক হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে ওয়ারিশ বলে।

হুকুমনামা কাকে বলে?

আমলনামা বা হুকুমনামা বলতে জমিদারের কাছ থেকে জমি বন্দোবস্ত নেয়ার পর প্রজার স্বত্ব দখল প্রমাণের দলিলকে বুঝায়। সংক্ষেপে বলতে গেলে জমিদার কর্তৃক প্রজার বরাবরে দেয়া জমির বন্দোবস্ত সংক্রান্ত নির্দেশপত্রই আমলনামা।

জমা খারিজ কাকে বলে?

জমা খারিজ অর্থ যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করা। প্রজার কোন জোতের কোন জমি হস্তান্তর বা বন্টনের কারনে মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমি নিয়ে নুতন জোত বা খতিয়ান খোলাকে জমা খারিজ বলা হয়। অন্য কথায় মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমির অংশ নিয়ে নতুন জোত বা খতিয়ান সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে।

“মৌজা” কাকে বলে?

CS জরিপ / ক্যাডষ্টাল জরিপ করা হয় তখন থানা ভিত্তিক এক বা একাধিক গ্রাম, ইউনিয়ন, পাড়া, মহল্লা অালাদা করে বিভিন্ন এককে ভাগ করে ক্রমিক নাম্বার দিয়ে চিহ্তি করা হয়েছে। আর বিভক্তকৃত এই প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে।। এক বা একাদিক গ্রাম বা পাড়া নিয়ে একটি মৌজা ঘঠিত হয়।

“আমিন” কাকে বলে?

ভূমি জরিপের মাধ্যমে নক্সা ও খতিয়ান প্রস্তত ও ভূমি জরিপ কাজে নিজুক্ত কর্মচারীকে আমিন বলে।

“কিস্তোয়ার” কাকে বলে?

ভূমি জরিপ কালে চতুর্ভুজ ও মোরব্বা প্রস্তত করার পর সিকমি লাইনে চেইন চালিয়ে সঠিকভাবে খন্ড খন্ড ভুমির বাস্তব ভৌগলিক চিত্র অঙ্কনের মাধ্যমে নকশা প্রস্তুতের পদ্ধতিকে কিস্তোয়ার বলে।

“সিকস্তি” কাকে বলে?

নদী ভাংঙ্গনের ফলে যে জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায় তাকে সিকন্তি বলে। সিকন্তি জমি যদি ৩০ বছরের মধ্যে স্বস্থানে পয়ন্তি হয় তাহলে সিকন্তি হওয়ার প্রাক্কালে যিনি ভূমি মালিক ছিলেন তিনি বা তাহার উত্তরাধিকারগন উক্ত জমির মালিকানা শর্ত সাপেক্ষ্যে প্রাপ্য হবেন।

“পয়ন্তি” কাকে বলে?

নদী গর্ভ থেকে পলি মাটির চর পড়ে জমির সৃষ্টি হওয়াকে পয়ন্তি বলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *